মাগুরা সংবাদদাতা
মাগুরায় শিশু ধর্ষকের মুল আসামীদের ফাঁসির দাবীতে শহরের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালত চত্বর ঘেরাও করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থী। রোববার সকাল ১০টা বেলা ১টা পর্যন্ত মাগুরাসহ ১২টি জেলা থেকে আসা শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় নামাজের জন্য বিরতি নিয়ে তারা কোর্ট চত্বরে সামনে রাস্তার উপর নামাজ আদায় করেন। এরপর আবার তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় শহরের জজকোর্ট সড়ক, কেশব মোড়ের উভয় সড়ক বন্ধ করে দেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা ধর্ষণে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, এ রকম পৈশাচিক ঘটনা থামাতে তাদের যেন দ্রুত ফাঁসি দেয়া হয়। সেই সঙ্গে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী যেন আদালতে না দাঁড়ান, সেই দাবিও জানিয়েছেন তারা। শিক্ষার্থীদের এ দাবীর সাথের একাত্বা ঘোষনা করে জেলা আইনজীবী সমিতি, জেলা গণকমিটি, চেম্বার অব কমার্স, সপ্তক সাহিত্য, জেলা পরিবেশক সমিতি, জেলা মহিলা পরিষদ, সুপ্রভাত বাংলাদেশসহ নানা সামাজিক সংগঠন অংশ নেয়। অন্যদিকে মাগুরা মেডিকেল কলেজের সামনে অবস্থান নেয় মাগুরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। ৪ ঘন্টাব্যাপি এ কর্মসূচীতে শহর প্রায় অচল হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় তীব্র যানযট।
এ সময় জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। সাধারণ শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, আজ যে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে আমাদের বোন। আমরা আমাদের বোনের ধর্ষণকারীর সর্ব্বোচ শাস্তি ফাঁসি চাই। মূল আসামীদের সঠিক বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আজ আমরা আদালত চত্বর ঘেরাও করলাম। পরবর্তীতে সড়কসহ আরো কঠোর আন্দোলনে যাব। শিক্ষার্থী মনিরা খাতুন বলেন, মেয়েটার উপর পাশবিক নির্যাতনই শুধু করা হয়নি তাকে মেরে ফেলার কাজ করেছে নরপিশাচরা। এটা আমাদের সমাজের কলঙ্ক। তাই আমরা চাই এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ফাঁসি দেয়া হোক। সমাবেশে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা বলেন, আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সব্বোর্চ শাস্তি দাবি করছি। আমরা ভিকটিমের সাথে সব সময় আছি ও থাকবো। আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে তাদের সর্ব্বোচ শাস্তি দাবি জানাছি।