মাগুরা সংবাদদাতা
দেশব্যাপী আলোচিত মাগুরার চাঞ্চল্যকর সেই ৮ বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মাগুরার নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদ হাসান উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনেন।
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, সোমবার সকালে এ মামলায় অভিযুক্ত সকল আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পাঠ করে শুনানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ আসামি হিটু শেখের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, সজিব ও রাতুল শেখের বিরুদ্ধে প্যানাল কোডের ৫০৬ ধারার দ্বিতীয় অংশের ও জাহেদা খাতুনের বিরুদ্ধে ২০১ ধারায় আলামত গোপন করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় সবোর্চ্চ শাস্তির আবেদন করা হয়েছে। এ মামলায় আগামীকাল যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের দিন ধার্য্য করবেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী সোহেল আহম্মদ আদালতকে জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ প্রত্যক্ষ কোনো সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করতে পারেনি। মামলার অনেক অসঙ্গতি তুলে ধরে আসামিদের খালাস দাবি করেন।
আজ মঙ্গলবার এ মামলার যুক্তিতর্কে অংশে নেবেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভাইজর অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজী। তিনি আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।
প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের ওই শিশু। এ ঘটনার পর মাগুরা ছাড়াও সারাদেশের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নামে। গত ৮ মার্চ পুলিশের অভিযুক্ত এই চারজনকেই আসামি করে সদর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার মামলা করেন শিশুটির মা। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ মারা যায়।