বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে। ২০০৮ সালের ৮ মার্চ জয়তী সোসাইটি ১১৩ জন দুঃস্থ, অবহেলিত ৬০ ঊর্ধ্ব মায়েদের নিয়ে শুরু করে ৬০ ঊর্ধ্ব নারীসেবা কর্মসূচি। বর্তমানে এই কর্মসূচীর মায়ের সংখ্যা ৪০০ জন। “বৃদ্ধাশ্রম নয়, পরিবারই হোক বয়স্কদের জন্য নিরাপদ আনন্দ আশ্রম।” এই উদ্দেশ্যকে সামনে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন হৃদয়বান ব্যক্তি, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিয়ে জয়তী সোসাইটির ৬০ ঊর্ধ্ব নারীসেবা কর্মসূচীর বাস্তবায়ন কমিটি এই বয়ষ্ক মায়েদের পাশে দাঁড়ায়।
‘বৃদ্ধাশ্রম নয়, পরিবারই হোক বয়স্কদের জন্য নিরাপদ আনন্দ আশ্রম’ এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকালে সমাজের বিভিন্ন হৃদয়বান ব্যক্তি, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ৪০০ জন মায়ের মাঝে এই ঈদ উপহার দেয়া হয়।
ঈদ উপহারের মধ্যে ছিল শাড়ি, পেটিকোট, ব্লাউজ, সেমাই, চিনি ও মাথাপিছু ১৫ কেজি করে চাল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর লেডিস ক্লাবের সভাপতি যশোরের জেলা প্রশাসকের সহধর্মিনী নুসরাত সুলতানা। বিশেষ অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খালেদা খাতুন রেখা, ডিভাইন গ্রুপ প্রতিনিধি এ্যাডভোকেট তজিবর রহমান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিজিবুল ইসলাম, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মুনা আফরিন, সমাজসেবক ডা. নাজিম উদ্দিন মোল্লা।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ৬০ ঊর্ধ্ব নারীসেবা কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সহ-সম্পাদক পরিতোষ বিশ্বাস, সদস্য কাজী লুৎফুন্নেছা, দাতা সদস্য সালেহা খাতুন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জয়তী সোসাইটির পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্মসূচির সভাপতি নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জয়তী সোসাইটির ইউনিট ম্যানেজার বর্ণালী সরকার।