বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কোটাবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে বের করে দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতারা। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মালামালসহ হল থেকে বের করে দেয়া হয় সামিউল আজিম নামে ওই শিক্ষার্থীকে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে প্রতিদিন নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম হৃদয় এবং সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান শিহাবের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৪২২নং কক্ষে যায়। এসময় তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকায় এবং কর্মসূচিতে রাজাকার বলে স্লোগান দেয়ায় সামিউল আজিমকে মারপিট করে মালামালসহ হল থেকে বের করে দেন।
সামিউল আজিম বলেন, ‘ দুপুরে কর্মসূচি শেষে হলে ফিরে দেখি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের গেটে তালা মেরে স্লোগান দিচ্ছে। আমি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নেই। সন্ধ্যায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আমার রুমে ঢুকে যায়। এরপর দরজা জানালা বন্ধ করে দেয়। তারা জিজ্ঞেস করে এখানে কোটাবিরোধী আন্দোলন কারা করছে। আমি উত্তর দিলে বলে রাজাকার স্লোগান কেন দিয়েছিস। এরপর তারা আমাকে খুব মারপিট করে। এমনকি ঝাটাপিটাও করে। ছাত্রলীগের হৃদয়, শিহাব ও রাকিব আমাকে মারপিট করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে মেরে শিক্ষার্থী সমাজকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। আমরা আন্দোলন করছি, সেটা চালিয়ে যাব।’ সামিউল আজিম জানান, মারপিট ও হল থেকে বের করে দেয়ার বিষয়টি তিনি হল প্রভোস্টকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।
শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. তানভীর ইসলাম বলেন, ‘আমি হলেই আছি। শিক্ষার্থী বের করে দেয়ার কোনো অভিযোগ পায়নি। তবে অন্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে সামিউল আজিম নিজেই হল থেকে চলে গেছে।’ উল্লেখ্য, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নাই।