কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
কোটচাঁদপুরে বোন হয়ে কন্যা সেজে ভাইয়ের মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তোলাসহ বিভিন্ন সুবিধা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে শারজাহান বেগমের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্তণালয় বরাবর আবেদন করেছেন স্থানীয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তবে বোনের জায়গায় কন্যা লেখা প্রিন্টিংয়ে মিসিং হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই পরিবারটি।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলা বলুহর ইউনিয়নের পারলাট গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তোমিছ মিয়ার কন্যা মোছাঃ শারজাহান বেগম। যুদ্ধের সময় তৌমিছ মিয়া শহীদ হন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু হওয়ার পর ২০১৩/১৪ সাল থেকে তোমিছ মিয়ার মা ওই ভাতা উত্তোলন করতেন।
পরে তোমিছ মিয়ার মায়ের মৃত্যুর পর শারজাহান বেগম ২০১৭/১৮ সাল থেকে ওই ভাতা তুলে থাকেন বলে নিশ্চিত করেছেন শারজান বেগমের ছেলে মেহেদী হাসান।
বিষয়টি নিয়ে গত ৫ আগস্টের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নজরে আসে ঘটনাটি। এরপর হৃদয় আহাম্মেদ ও সাফায়েত নামের দুই ছাত্র ওই অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন। যার অনুলিপি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।
তারা অভিযোগে বলেছেন, শারজাহান বেগম ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তোমিছ মিয়া দুই ভাই বোন। শারজান বেগমের (এনআইডি নং-১৯৬২৪৪১৪২১৩৬৪৬৬৫৩)। তারা কোটচাঁদপুরে পারলাট গ্রামের মৃত আ. রহমান ব্যাপারীর সন্তান। এরপরও শারজান বেগম কন্যা সেজে দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তোলাসহ বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে আসছেন। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে শারজাহান বেগমের ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তোমিছ মিয়া আমার মামা। আর শারজাহান বেগম আমার মা। আমি ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি ওই ভাতা আমার নানী তুলতেন। নানী মারা যাবার পর ১৭/১৮ সাল থেকে আমার মা তোলেন ভাতাটি। তবে সব কিছু দেখা শোনা করেন আমার মামা মইদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সকল কাগজ পত্রে লেখা আছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা তোমিছ মিয়া আমার মায়ের ভাই। শুধু মাত্র এম আই এস প্রগামে গিয়ে ভুলটা হয়েছে। ওইখানে কাগজ পত্রে ভুলে আমার মাকে তোমিছ মিয়ার কন্যা বলা হয়েছে বলে দাবি করেন মেহেদী হাসান।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা আমার কাছে কোন দরখাস্ত দেননি। তারা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করেছেন। তবে বিষয়টি আমি জানি। এ নিয়ে তদন্ত হলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।