কাজী নূর
কেউ স্পর্শের বাইরে চলে গেলে কেউ তাকে মনে রাখে না। তবে কেউ যদি তার সুকর্ম পৃথিবীতে রেখে যান তাকে মানুষ মনে রাখে। সৃষ্টিশীল কিছু করে গেলে সেই গুণে বছরে দুএকবার মানুষ তার স্মৃতিচারণ করে। তেমনি একজন ছিলেন কবি নূরজাহান আরা নীতি। তিনি আমৃত্যু সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা করে গেছেন। তিনি মঞ্চে অনর্গল কবিতা আবৃত্তি করতেন। যা মানুষকে বিমোহিত করতো। শুধুমাত্র কবি সাহিত্যিক নন, দেশের যেকোনো সংকটে তিনি সাহিত্য সংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে নেমে যেতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ আমাদের প্রিয় সহযোদ্ধাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে যশোর পৌরপার্কে ‘তির্যক’ কার্যালয়ে মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের ১৬৭তম সাহিত্য সভা ও প্রয়াত কবি নূরজাহান আরা নীতির বিদেহী রুহয়ের মাগফেরাত কামনা করে এসব কথা বলেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।
মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সহ সভাপতি কবি রাশিদা আখতার লিলির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি অধ্যক্ষ ড. শাহনাজ পারভীন, কবি ও গীতিকার কাসেদুজ্জামান সেলিম, বিদ্রোহী সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি গোলাম মোস্তফা মুন্না, ঝিকরগাছা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি সাইফুদ্দিন সাইফুল এবং ফরিদপুর জেলার কবি ও সংগঠক আবু জাফর দিলু।
প্রয়াত কবি নূরজাহান আরা নীতির জীবনী আলোচনা, স্মৃতিচারণ ও কবিতা পাঠ করেন মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি কবি ডাঃ মোকাররম হোসেন, কবি সুরাইয়া শরীফ, আমির হোসেন মিলন, আহমদ রাজু, শরীফ উদ্দিন, রবিউল হাসান, এডিএম রতন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহাদ আলী, মুজিবুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, এমএনএস তুর্কি, রকি মাহমুদ, আবু রায়হান, রেবেকা টপি, ভদ্রাবতী বিশ্বাস,শরিফুল আলম, অমিয় কাশেম, অরুণ বর্মন, জাকির হোসেন, কাজী নূর, রাশেদ হোসেন, জাকির হোসেন প্রমুখ।
দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সংগঠনের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা একেএম শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মুক্তেশ্বরী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি গাজী শহিদুল ইসলাম।