শ্যামনগর সংবাদদাতা
শ্যামনগরে নানীর মৃত্যুর খবর পেয়ে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয় ১৪ বছরের কিশোরী আসমা আক্তার। পথিমধ্যে বৈশখালী এলাকার মজিদ মাস্টারের বাড়ির সামনে পৌছালে বখাটে হাসান, হানিফ ও রিয়াজুল তার গতিরোধ করে।
এসময় হাত ধরে টানাটানিসহ মোটরসাইকেলযোগে গন্তব্যে পৌছে দেয়ারও প্রস্তাব দেয় বখাটেরা। শেষমেশ খালাত ভাইয়ের সহায়তায় মৃতবাড়িতে পৌছালেও পিতামাতাসহ বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছে ওই কিশোরী।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বৈশখালী গ্রামে। বখাটেদের হামলায় আহত আসমাসহ তার পিতা ফারুক হোসেন (৩৮) ও মাতা রাশিদা বেগমকে (৩৩) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে সন্তানসম্ভবা রাশিদার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফারুক হোসেনসহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান মঙ্গলবার দুপুরের দিকে তার শাশুড়ীর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে অন্যরা মৃত বাড়িতে পৌঁছালেও মাদ্রাসায় থাকায় আসমা যথাসময়ে সেখানে পৌছাতে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসা থেকে ফিরে একাকি নানার বাড়িতে যাওয়ার সময় তার গতিরোধ করে হাসান, হানিফ, রিয়াজুল।
এ সময় তার ভাইরার ছেলে সাইফুদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে আসমাকে নিয়ে মৃতবাড়িতে পৌছায়। এ ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে বখাটে হাসান ও হানিফের নেতৃত্বে আলআমিন, আকরাম ও রিয়াজুলসহ ১৪/১৫ জন তরুন যুবক লাঠিশোটা নিয়ে ওই মৃতবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের মারধরে আসমাসহ তার সন্তানসম্ভবা মা ও পিতা মারাত্মকভাবে আহত হয়।
অভিযোগের বিষয়ে আলআমিন বলেন তিনি মিমংসার কথা বলে চলে আসেন। পরে অন্যরা মারধর করে বলে জানতে পেরেছেন। অপর অভিযুক্ত হানিফ হোসেন জানান তিনি ছিলেন না তবে আলআমিনসহ আরও কয়েকজন মরা বাড়িতে ঢুকে মারপিট করেছেন।
শ্যামনগর থানার ওসি (তদন্ত) ফকির তাইজুর রহমান বলেন আহতরা থানায় আসার পর তাদেরকে প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।