কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে অবৈধ নিয়োগ নিয়ে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল কাজ শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তারা চিনিকলে অবস্থান করে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলার ভোরে ‘মোবারকগঞ্জ চিনিকল : নিয়োগে সকলকেই ভাগ দিতেন শ্রমিকনেতা রসুল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরশেনের প্রধান রসায়নবিদ আনিসুল আজমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরশেনের মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাকী মাহমুদ ইসমাইল ও মহাব্যবস্থাপক (সিপিসিআর) মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।
তদন্ত কমিটির প্রধান আনিসুল আজম জানান, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের নিয়োগ নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এজন্য কমিটির সদস্যরা সরেজমিন কালীগঞ্জে এসে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছেন। শ্রমিক নেতা গোলাম রসুলের নিয়োগের ভিডিওটি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এরপর তার বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলা হয় এবং সেগুলো লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ১০১ জন শ্রমিক নিয়োগের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সেখানে এমপি, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন তদবিরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মোবারকগঞ্জ চিনিকলে শ্রমিক নিয়োগ দেয়ার কথা বলতে শোনা যায় শ্রমিক নেতা গোলাম রসুলকে। গোলাম রসুল মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি। গত ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।