বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) দুই দিনব্যাপি বৈশাখী মেলা ও লোক সংস্কৃতি উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলা, বাংলাদেশ এবং আমাদের জাতিসত্তার সাথে সম্পর্কিত সংস্কৃতিমূলক অনুষ্ঠানগুলো যবিপ্রবি এখন থেকে নিয়মিতভাবে পালন করবে। এর মূল কারণ হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চা করে আমাদের সন্তানেরা যেন যন্ত্র না হয়ে যায়। তারা যেন বিশে^র সভ্যতার বিকাশের সাথে সাথে বহির্বিশে^র সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে নিজেদের সংস্কৃতিকে চিনতে পারে। নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের বিকশিত করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এ ধরনের অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত সবাইকে তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
যবিপ্রবি ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. কাজী এমরান হোসেন, পিটি। অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হাড়ি ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বৈশাখী মেলা ও লোক সংস্কৃতি উৎসবের বিভিন্ন পর্বের সূচনা করেন। এরপরেই যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কুষ্টিয়া থেকে আগত বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের লাঠিখেলা প্রদর্শন করেন।
ঢোলা-তবলার বাজনার সাথে সাথে লাঠিয়ালদের বিভিন্ন কসরত উপস্থিত দর্শকদের বিমোহিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ উৎসবের বিভিন্ন পর্বে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রদর্শনী, লোক সংগীত, লোকনৃত্য, গীতিনৃত্যনাট্য (মহুয়া), প্রদর্শনী বিতর্ক, গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী খেলা, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, বাউল সংগীত পরিবেশিত হবে। এ ছাড়া রকমারি পণ্য ও খাবারের স্টল এবং বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এলাকায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উদ্যোক্তা মেলারও আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার এই মেলা সমাপ্ত হবে।