বাংলার ভোর প্রতিবেদক
নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের ফুল এবং সম্মাননা স্মারক প্রদান, আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ইণ্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে রবিবার সকালে আইপিই বিভাগের উদ্যোগে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ, বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মজিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মায়ের মতো আর তোমরা সেই মায়ের সন্তান। সন্তান যদি মা’কে নিয়ে গর্ব না করে, কে করবে। সন্তানকেই মা’কে নিয়ে গর্ব করতে হবে। আমার মা সেরা মা, তেমনিভাবে আমাদেরও গর্ব করতে হবে আমার বিশ্ববিদ্যালয় সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের বর্তমান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যে র্যাঙ্কিং সেটা নিয়ে আমাদের গর্ব করতে হবে এবং এই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যবিপ্রবি উপাচার্য আরও বলেন, এই বিভাগের পাঠ্যক্রম বর্তমান সময় অনুযায়ী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যার বিচরণ ইণ্ডাস্ট্রির সকল ক্ষেত্রে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজেদের হাতে-কলমে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সকল বিভাগ প্রতি বছর একটি করে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন করবে। সেই সেমিনারের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানি ও অ্যালামনাইদের সাথে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সেতুবন্ধন তৈরি হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। আইপিই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মুজাহিদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, সহকারী প্রক্টর কিশোর কুমার সরকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন, প্রভাষক শোয়েব মুহাম্মদ, বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থী জেবা ও নবীন শিক্ষার্থী ফাহিম ফয়সাল তামিম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইপিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সরজিৎ কুমার বিশ্বাস, ড. মো. মাহফুজুর রহমান, রাকেশ রায়সহ বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থী শিহাব উদ্দীন সরকার। সন্ধ্যায় বিভাগটির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।