# পুলিশের ধারণা ঘের নিয়ে বিরোধে হত্যা
#প্রতিবাদে অগ্নিসংযোগ, নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে (৫০) গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বাড়েদা গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
রাজনীতির পাশিপাশি ঘের ব্যবসায়ী তরিকুল নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ধোপাদী গ্রামের বাসিন্দা। মৎস্যঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছেন আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও স্থানীয়রা। ঘটনার পর পরেই তরিকুলের পক্ষের লোকজন পিল্টু বিশ্বাসসহ কয়েকজনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর পিল্টু বিশ্বাসসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ির সদস্যরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এদিকে, কৃষকদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে নওয়াপাড়া শহরে বিক্ষোভ করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। দ্রুত জড়িতদের আটকে আল্টিমেটামও দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের বাড়েদা গ্রামে মাছের ঘের রয়েছে তরিকুল ইসলামের। এই ঘের নিয়ে পিল্টু বিশ্বাসসহ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে তরিকুল ইসলামের বিরোধ ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই গ্রুপের লোকজন তরিকুলকে বাড়েদা গ্রামের পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে ঘেরের হারির (চুক্তি) টাকার ডিড নিয়ে বিরোধের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ৬/৭ জন দুর্বৃত্ত তরিকুল ইসলামকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর পিল্টু বিশ্বাসের বাড়ি লোকজনও পালিয়ে গেছে। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে অভয়নগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ৮টার দিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের মাছের ঘের নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল), অভয়নগর থানা পুলিশ, ডিবি টিম, স্থানীয় দু’টি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে, কৃষকদল নেতা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে অভয়নগর উপজেলা ও নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা। নওয়াপাড়া বিএনপির সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে বাজারে সমাবেশ করে নেতৃবৃন্দ।
ফারাজী মতিয়ার রহমান বলেন, ‘এত বড় ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে। এটা নিশ্চয়ই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমাদের এক বিএনপির কর্মীকে এ ভাবে হত্যা করা হয়েছে; দ্রুত এই হত্যার বিচার করতে হবে। তা না হলে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।