বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সরকারি নির্দেশনায় মঙ্গলবার থেকে সবকিছু খোলার নির্দেশনা দিলেও কি হয় এ আশংকায় বন্ধ ছিলো অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে শহরে জনসাধারণের চলাচল ছিল একেবারেই কম। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সেবা নেয়ার উপস্থিতির হার ছিলো কোন রকম। জানাগেছে, গত সোমবার সরকার পদত্যাগের বিজয়মিছিল থেকে শহরের পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে অগ্নিসংযোগের কারণে ২৪ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। গ্রাম অঞ্চলে হামলা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জেলায় সাধারণ মানুষের মাঝে একরকম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সরেজমিনে যশোর শহরে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের সাধারণ মানুষের মধ্যে চলাচল খুবই কম। শহরের দড়াটানা, চাঁচড়া, মণিহার, চিত্রামোড়সহ কয়েকটি স্থানে মানুষের চলাচল কম দেখা গেছে। এসব সড়কের পাশে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো বসতে দেখা যায়নি। শহরের আরএন রোড, বড়বাজার, মুজিব সড়ক, কালেক্টরেট মার্কেট, চিত্রামোড়সহ বিভিন্ন মার্কেট শপিংমল বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। মার্কেটের সামনে দোকান বন্ধ থেকে দোকানের মালিকরা বসে আড্ডা দিতে দেগা গেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের বড়বাজার কাঁচাবাজার, চুয়াডাঙ্গা স্ট্যান্ড ও রেলস্টেশন বাজারগুলো ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা যায়। দুপুরের পর থেকে ক্রেতা কম থাকাতে অনেক দোকান বন্ধ রেখে বাড়ি চলে যান। এছাড়া শহরের বিভিন্ন ইজিবাইক ও রিকসা কম চলতে দেখা গেছে। ফলে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েন বিপাকে।
নজরুল ইসলাম নামে এক রিকসা চালক বলেন, ‘শহরে মানুষের উপস্থিতি কম। কয়েকদিন ধরে ভাংচুর, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং গতকাল শহরে ভাংচুর আগুন দেয়ার কারণে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ঘরের বাইরে কম বের হচ্ছেন। কালেক্টরেট মার্কেটে ব্যবসায়ীরা প্রতিটি দোকান বন্ধ রেখেছেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘দেশের ব্যবসার পরিস্থিতি নাই। সারাদেশে লুটপাট হামলা চলছে। গতকাল যশোরেরও ভাংচুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এমনকি আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান রক্ষার্থে নিজ নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন। স্বাভাবিক পরিস্থিতি না ফিরলে দোকান খোলা নিরাপদ না বলে জানান তারা। তবে শহরে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান বা দোকানগুলো খোলা দেখা গেছে।
এদিকে রাষ্ট্রপ্রতির নির্দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিলো। সরকারি সেবাপ্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের সেবা নিতে উপস্থিতি কম ছিলো। যশোর জেলা দায়রা আদালত ও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও এদিন সেবা নেয়াদের উপস্থিতি ছিলো না বলেই চলে।