বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ফতেপুর ইউনিয়নের নুড়িতলা গ্রামে মেসার্স ইনো লুব্রিকেটিং নামের একটি অবৈধ মবিল কারখানায় হানা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের টিম। এ সময় ওই কারখানার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে না পারায় কারখানা মালিক নাজিম উদ্দিনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর যশোরের সহকারী পরিচালক সৈয়দ তামান্না তাসনীমের নেতৃত্বে একটি টিম বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করে একই সাথে জরিমানা আদায় করে।
যশোরের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তামান্না তাসনীম জানান, তাদের কাছে খবর আসে একটি চক্র হামিদপুরে মবিল কোম্পানি খুলে ভেজাল মবিল বিক্রি করছে। তাৎক্ষণিক পুলিশের সহযোগিতায় সেখানে হাজির হন তিনি। এ সময় যেয়ে দেখেন তালা বন্ধ। কিন্তু ভেতরে লোক রয়েছে। এ সময় ডাকাডাকি করলে ভেতরের লোকজন প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেখানে মালিক নাজিম উদ্দীনকে আনা হয়। কিন্তু তার কাছে ওই মবিল কোম্পানির কাগজ পত্র দেখাতে বললে তিনি শুধুমাত্র ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া আর কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। অথচ ওই কারখানা থেকে প্রতিনিয়ত মবিল বোতলজাত করে বাজারে দেদারছে বিক্রি করা হচ্ছে। যা আইনবহির্ভুত। ফলে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারায় ৫০ হাজার ও ৫২ ধারায় আরও ৫০ হাজার সর্বমোট এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সাথে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সৈয়দা তামান্না তাসনীম।
এদিকে, স্থানীয়রা জানায় ওই কারখানাটি সবসময় ভেতর থেকে তালা মারা থাকে। মাঝে মধ্যে গভীর রাতে খোলা হয়। সেখানে মূলত ভেজাল মবিল বিক্রি করা হয়। এদিকে, একটি সূত্র জানায় ওই প্রতিষ্ঠানটি একসময় যশোর বিসিক এলাকায় ছিলো। পরবর্তীতে ভেজাল মবিল কারবারের বিষয়টি জানাজানি হলে দুই বছর আগে নুড়িতলায় চলে আসে। এরপর থেকেই সেখানে দেদারছে মবিল ক্রয় বিক্রয় করা হয়। নিম্নমানের ওই মবিল বাজারে ছাড়া হয় অল্প টাকায়। যা দোকানদাররা ব্রান্ডের মবিল বলে বিক্রি করে। এতে করে ব্যবহারকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যন্ত্রের ইঞ্জিন বিকলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।