বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের বিভিন্ন ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট ও জরিমানার নামে হয়রানি ও ভাঙচুর করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি। অভিযানের নামে ইটভাটায় গিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। মঙ্গলবার যশোরের আট উপজেলার নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি দেন সমিতির নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকালে যশোর সদর উপজেলা পরিষদে কয়েকশ’ ইটভাটা মালিক ও শ্রমিক বিক্ষোভ মিছিল করে জড়ো হন। এ সময় তারা সেখানে দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। হয়রানি বন্ধ না হলে ঈদের পরে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে সারা দেশ অচল করে দেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন মালিক-শ্রমিকরা।
জেলা ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির সভাপতি কাজী নাজির আহমেদ মুন্নু বলেন, যশোরের ইটভাটা মালিকরা বিগত ৩৫-৪০ বছর অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এ পেশার সঙ্গে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ জড়িত। এখন সরকার নানা অজুহাতে ইটভাটা বন্ধের চক্রান্ত করছে। এটি কখনও হতে দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।
বিক্ষোভ শেষে জিগজাগ ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ এ বর্ণিত জিগজাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের জন্য ৬ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন ভাটা মালিকরা। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন যশোর সদর উপজেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
স্মারকলিপি প্রদানকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ইট প্রস্তুতকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা বাবুল, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এদিকে, একই দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে যশোরের চৌগাছা উপজেলা, মণিরামপুর উপজেলা, বাঘারপাড়া উপজেলা, ঝিকরগাছা উপজেলাসহ অন্যান্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ইটভাটা মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
চৌগাছায় মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি দেওয়ান তৌহিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হালিম চঞ্চল, ঝিকরগাছায় ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক বিশ্বাস ও হুমায়ূন কবির, মণিরামপুরে ছিলেন আব্দুল খালেক ও রবিউল ইসলাম মিঠু, বাঘারপাড়ায় ছিলেন আব্দুস সালাম সৌদি ও বাবুল হোসেন।