বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এইচএসসি, আলীম ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল রহমান, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা ইসলাম, কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা রোকসানা খাতুন, ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ভুপালি সরকার, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা কাজী নাজিব হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, বাঘারপাড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউসুফ মিয়া প্রমুখ।
সভায় আসন্ন উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়। আগত প্রতিষ্ঠানের প্রধান, কেন্দ্র সুপার ও হল সুপাররা তাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। এ বছর পরীক্ষার ভেন্যু না থাকায় কেশবপুর ও শার্শার দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হতাশা প্রকাশ করেন। তাদের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কেন্দ্র শহর থেকে দূরবর্তী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সময়ের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে ভেন্যু চালুর বিষয়ে অনুরোধ করেন।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের অবকাঠামো ঠিক থাকতে হবে। অবশ্যই বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেন্দ্র নির্ধারণ করেছে বোর্ড। আমাদের কাজ হলো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা নেয়া। জুলাই আন্দোলনের পর এই প্রথম এইচএসসি পরীক্ষা। আন্দোলনে বেশির ভাগ তারাই ছিল। এবার একটু বেশি সচেতন থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন যেহেতু বিভিন্ন ধরনের ছাত্র সংগঠন আছে। পরীক্ষার দিন তারা শুভেচ্ছা বিনিময় করে। কলম সরবরাহ করে। কেন্দ্র থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে এসব কার্যক্রম করতে হবে। এ সব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। যাতায়াতের সময় মেয়ে শিক্ষার্থীরা যেন হয়রানির শিকার না হয়। কেউ হয়রানির শিকার হলে কেন্দ্র থেকে প্রথমে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, কেন্দ্রের ভাঙা বেঞ্চ পরিবর্তন করা, বাড়তি খাতা বিতরণের সময় যত্নশীল হওয়া, শিক্ষকদের নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানোসহ মার্জিত পোশাক পরিধানের বিষয়ে পরামর্শ দেন তিনি।
এ বছর যশোর জেলার ৭৯টি কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জেলার ৫০টি কেন্দ্রে মোট এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১৯ হাজার ৭৩ জন, ১০ টি কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৭০১ জন, ১৯টি কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/ বিএমটি, ভোকেশসাল, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স) পরীক্ষার্থী এক হাজার ৩২৩ জন (গড়)।