বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে এক বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেড় হাজার অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে ৪৫৭টি মামলা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে ‘মাদক অপব্যবহার প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আহসানুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যশোরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন।
খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার শুধু বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের সমস্যা। তরুণ সমাজের মধ্যে মাদকাসক্তির হার অত্যন্ত বেশি, যা একটি জাতির ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।
তিনি আরও বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের দফতরের পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ কারণে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে পরিবার থেকেও সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।’
সেমিনারে জানানো হয়, চলতি বছরে যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এক হাজার ৫০১টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানের ঘটনায় ৪৫৭টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭২টি নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে। ২৮৫টি মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়। ৪৭৪ জনকে আসামি করা হয়। গ্রেফতার করা হয় ৪৩৬জনকে। একই সময়ে ৯১ কেজি গাঁজা, এক হাজার ৪৪৩ বোতল ফেনসিডিল, ৩২ লিটার স্প্রিট, ১২ বোতল বিদেশী মদ, চার হাজার ৩৩ পিস ইয়াবা, ৩২০ লিটার তাড়ি, ৯০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৭০০ টাকাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, সেমিনারে মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে ফুটবল, সাঁতার, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে একযোগে কাজ করতে সমাজের সকল শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।