বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মশালা থেকে বাড়িতে সন্তান প্রসবের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থসেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শতভাগ সন্তান প্রসব নিশ্চিত করতে এ তাগিদ দেওয়া হয়। পাশাপাশি সিজারিয়ান সেকশনের পরিবর্তে স্বাভাবিক প্রসব নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
‘ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে সাতদিন স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা’য় এ তাগিদ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার যশোর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিট এর ব্যবস্থাপনায় যশোর সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
যশোর পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী ফারুক আহমেদের সভাপতিত্ব কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগ যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাক্তার চন্দ্র শেখর কুন্ডু।
কর্মশালায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ৬৫ শতাংশ প্রসব স্বাস্থসেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সম্পন্ন হচ্ছে। আর ৩৫ শতাংশ প্রসব এখনো বাড়িতেই সম্পন্ন হচ্ছে। বাড়িতে সন্তান প্রসবের কারণে প্রসূতি মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট জরুরি সেবা মিলছে না। ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হারকে লক্ষিত সূচকে নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য বাড়িতে সন্তান প্রসবের হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার তাগিদ দিয়ে স্বাস্থসেবা প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে শতভাগ সন্তান প্রসব নিশ্চিত করতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। কারণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব সেবা গ্রহণের ফলে প্রসূতি মা ও নবজাতকের মৃত্যু ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি প্রসব পরবর্তী জটিলতা নিরসন করা সম্ভব হয়। এজন্য সরকার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করে থাকে।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে দেশে যে ৬৫ শতাংশ প্রসব প্রতিষ্ঠানে হচ্ছে; এর মধ্যে ৪৫ শতাংশই বেসরকারি ক্লিনিকে। আর এই ক্লিনিকগুলোতে সিজারিয়ান সেকশনের পরিবর্তে সাধারণ প্রসব নেই বললেই চলে। এ ব্যাপারে সভা থেকে চিকিৎসকদের যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানোনো হয়।
সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মাহ্মুদুল হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মীর আবু মাউদ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়াজ, ইউপি চেয়ারম্যান আলীমুজ্জামান মিলন, দাউদ হোসেন, আবু সিদ্দিক, আনিছুর রহমান, হুমায়ুন কবীর তুহিন, সোহরাব হোসেন, সাংবাদিক ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সাজ্জাদ গনি খাঁন রিমন, ওহাবুজ্জামান ঝন্টু, হাবিবুর রহমান মিলন, জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা এই কর্মশালায় অংশ নেন।