বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে সহজেই মেলে হেরোইন-ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ নানা রকমের মাদক। মাদক-অস্ত্র নিয়ে সারা জেলা দাপিয়ে বেড়ায় উঠতি সন্ত্রাসীরা। এর বাইরে নয় সদরের ফতেপুর ভায়না গ্রাম। গ্রামটিতে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এসবের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করলেই নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। প্রায় সময় বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে দুই পক্ষই একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপায়। মামলা ও কাউন্টার মামলা করে পার পেয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি গ্রামটিতে মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে আহতদের একজন জানিয়েছেন-বখাটেরা একটি মেয়ে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করে আনার পর তারা হামলা করেছে।
গত ২৮ মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ভায়নার তারাগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বেচাকেনা হচ্ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এলাকার বদরুল হায়দার নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী রুপা আক্তার নামে এক চল্লিশোর্ধ নারী। তাৎক্ষণিক বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে সাইফুল, সাইফুলের ছেলে শাহিন ও শাকিলসহ ১০ থেকে ১২ জনের সংঘবদ্ধ একদল মাদক কারবাররি। তারা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসি হিসেবে পরিচিত। রুপা বেগমকে মারপিটের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে মৃত হাকিম মোল্লার ছেলে শাহিন ও ওদুদসহ বেশ কয়েকজন। ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় রেহেনাসহ উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষসহ ১০ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রামটি মাদক কারবারি কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কোনো ভদ্রলোকের বসবাসের যোগ্য নেই গ্রামটি। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয়ে এসব কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
পুলিশ জানিয়েছে-বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার রয়েছে।