স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ:
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে যশোরের বিভিন্ন এলাকায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেমে থেমে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন যশোরের আবহাওয়া অফিস। তবে কি কারণে হঠাৎ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখা পাওয়া যায়নি।
এদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হওয়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষদের ভোগান্তির অন্ত নেয়। এ দিন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শহরের অধিকাংশ রাস্তা ফাঁকা। ইজিবাইক, রিক্সা থাকলেও যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। বড় বড় দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা সমাগম নেই বললেই চলে। কাঁচা বাজারে পলিথিন মাথায় দিয়ে সবজি নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে হাতে গোনা দুই একজন ক্রেতা পাচ্ছেন তারা। শহরের ছোট ছোট দোকান, ভ্রাম্যমাণ খাবার ও পোশাকের দোকান অধিকাংশই ছিল বন্ধ। অন্যান্য দিনের তুলনায় সদর হাসপাতালে রোগীর চাপও কম দেখা গেছে। বেকার সময় পার করছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা। তবে খাবারের হোটেলে বিশেষ করে ফাস্টফুডের রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন বয়সের মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
শহরের দড়াটানায় কথা হয় পথচারী মোজাম্মেল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই দুপুরের পর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। বেশি জোরে বৃষ্টি না হলেও কাজের প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হয়ে ভিজতে হচ্ছে। এখন মানুষের সামান্য ঠান্ডায় জ¦র, সর্দি হচ্ছে। তারপরও প্রয়োজনে ছাতা নিয়ে বের হয়েছি।
মনির হোসেন নামে এক রিক্সাচালক বলেন, দুপুরের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে ১০০ টাকার মত ভাড়া খেটেছি। রাস্তায় রিক্সা, ইজিবাইক বেশি। বর্ষার সময় চলাচলে যাত্রীরা রিক্সা, ইজিবাইক বেশি ব্যবহার করে। সে কারণে গুড়ি গুড়ি বর্ষার ভিতরে সবাই গাড়ি নিয়ে বের হয় দুটো পয়সা আয় করার জন্য।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে নয়ন হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালক বলেন, হাসপাতাল এলাকায় ভাড়া টানি। বর্ষার জন্য তেমন ভাড়া পাচ্ছি না। আজ হাসপাতালে রোগীও কম আসছে।