বাংলার ভোর প্রতিবেদক
কখনো আইনজীবী সহকারী, আবার কখনো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো চিহ্নিত প্রতারক শহিদুল ওরফে পাকা শহিদুল চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন। হাতে ডায়েরি আর গায়ে আইনজীবী সহকারীর পোষাক পরে চলা ওই শহিদুলকে রোববার রাত তিনটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় মামলা করেছেন কোদলাপাড়া গ্রামের খাইরুজ্জামান আকাশ। শহিদুল ইসলাম রোহিতা গ্রামের নিছার আলীর ছেলে। এদিকে, আটকের পর আদালত চত্বরে হাজির হয় অসংখ্য ভুক্তভোগি। আইনী সেবার জন্য তাকে মোটা অংকের টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করে আদালত টাকা ফেরতের দাবি জানান তারা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, খায়রুজ্জামান আকাশের বাবা রুপচাঁনের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম। টাকা না দেয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর রাত নয়টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শহিদুলসহ আরও কয়েকজন আকাশের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় টাকা না দিলে রুপচানের গলায় চাকু ধরে জবাই করে হত্যার হুমকি দেয়। বাধ্য হয়ে রুপচান বাড়িতে থাকা ধান বিক্রির ৫৫ হাজার টাকা তুলে দেয় শহিদুল চক্রের হাতে। সাতদিন সময় নির্ধারণ করে বাকি টাকা না দিলে জমি লিখে নেয়ার হুমকি দিয়ে শহিদুল চক্র চলে যান। পরে আকাশ এ ঘটনায় মণিরামপুর থানায় শহিদুল ও তার ছেলে আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মণিরামপুর থানার এসআই অমিত দাস বলেন, অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এছাড়া অনেকেই ওই শহিদুলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ দেন। এছাড়া জমিজমা জোর করে লিখে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে শহিদুলের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজিদ বলেন, শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি আইনজীবী সহকারীর পোশাক পরে মক্কেলদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। তাকে অনেকবারই সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু শহিদুল কোনো কথাই শোনেন নি। অভিযানের সময় গাঢাকা দেয় কয়েকদিন পর ফের আদালত চত্বরে এসে একই কাজ শুরু করে। এমনকি তিনি আদালত চত্বরের টাউটের তালিকায়ও রয়েছে বলে জানান আব্দুল মাজিদ।