বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে চারশ’ হতদরিদ্র মানুষের মাঝে উন্নত মানের খাবার বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের চাঁচড়াস্থ ইকো একে ট্রেনিং সেন্টার মাঠে খাবার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার অতিথিদের নিয়ে হতদরিদ্রদের হাতে খাবার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক তানভিরুল ইসলাম সোহান, প্রেসক্লাব যশেরের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, যশোর মেডিকেল কলেজের প্রভাষক আলাউদ্দিন আল মামুন, ইকোর প্রজেক্ট অফিসার আবদুল কাদের, যশোর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাহী কমিটির সদস্য খায়রুল কবির চঞ্চল ও প্রকৌশলী আশিফ উল্লাহ চৌধুরী জুয়েল।
খাবার পেয়ে খুশি চাঁচড়া মাঝের পাড়ার বাসিন্দা সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী হকারি করে। চাঁচড়া সরকারি আশ্রয়ণপাড়াতে থাকি। অনেকদিন ভালো মন্দ খাওয়া হয়নি। আজ ইকো থেকে খাবার পেলাম; দুই সন্তানরে খাওয়াবো।’ নুর নাহার নামে এক বৃদ্ধা বলেন, ‘ভিক্ষা করে দিন চলে। শুনলাম এখানে আজ খাবার দিবে। তাই এসেছি, খাবারও নিয়েছে। আমার মতো অনেকেই দেখছি এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার নিয়েছে। এ ধরণের অনুষ্ঠান তো আমাদের মতো গরীব মানুষের জন্য ভালো। ভালো ভালো খাবার খেতে পারবো।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, ‘ইকো দীর্ঘদিন ধরে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করে। তারা হতদরিদ্র গরীবদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে বিভিন্ন ট্রেনিং, খাবার বিতরণসহ নানা সামাজিক কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম দেশে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সমাজে কেউ আলাদা নয়। যে যার জায়গা থেকে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কাজ করলে সমাজে আর বৈষম্য থাকবে না। একটা সময় এই দেশ সমৃদ্ধ শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হবে।’
আয়োজকরা জানান, ইকোর অর্থায়নে সমাজে পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্রদের সচেতন করতে এবং আর্থসামাজিক ভাবে সচ্ছল করতে সংগঠনটি কাজ করছে। পাশাপাশি সমাজের হতদরিদ্র মানুষকে প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে যশোরের চাঁচড়াস্থ ইকো একে ট্রেনিং সেন্টার কাজ করছে। পাশাপাশি সংস্থাটি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজের মেধাবি শিক্ষার্থীদের উচ্চতর শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের মতো কার্যক্রম করে আসছে।