বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ইসরাফিল হোসেনের বিরুদ্ধে জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার ভুক্তভোগী পরিবারের ইউনুস আলী ইমন প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। তবে এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইসরাফিল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইমন জানান, তিনি আরবপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মৃত ময়েন উদ্দিন। তারা চার ভাই দুর্গাপুর মৌজায় পৈত্রিকসূত্রে ১৭ শতক জমি পেয়েছেন। পতেঙ্গালী গ্রামের ইসরাফিল ও দানেচ আলী ২০১০ সালে দুর্গাপুর গ্রামের বুধাই মোড়লের কাছ থেকে ১৭ শতক জমি ক্রয় করে। দুর্গাপুর গ্রামের ওই একই দাগে ২০০৯ সালে তার দাদা বুধাই মোড়ল ১৭ শতক জমি তার চার ছেলেকে লিখে দেন। তারপর থেকে ১৭ শতক জমি তারা ভোগ দখল করে আসছেন।
কিন্তু ১৭ শতক জমি কিনে আরবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলামের সহযোগিতায় তারা ৩৪ শতক জমি দখল করে নেয়। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তারা পৈত্রিক সম্পত্তি দখলমুক্ত করে নেন। ইসরাফিল নতুন করে ওই জমি দখল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দাউদ হোসেন, ইউসুফ আলী, আয়ুব আলী ও জয়েন উদ্দিন প্রমুখ।
ইসরাফিল হোসেন বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। ২০১০ সালে দুর্গাপুর গ্রামের বুধাই মোড়লের কাছ থেকে ১৭ শতক জমি কিনি। সে জমি আমাদের দখলে রয়েছে। ২০০৯ সালে বুধাই মোড়ল ১৭ শতক জমি তার চার ছেলেকে লিখে দিয়েছেন কিনা তা তাদের জানান নেই। যদি এমনটি হয়ে থাকে তা তারা আমাদের এতদিন জানাননি। বুধাই মোড়ল (ইমনের দাদা) ও বাবারা যদি প্রতারণা করে থাকে আইনুয়ায়ী আমরা লড়ব। কারো জমি দখলের ইচ্ছা নেই।