বাংলার ভোর প্রতিবেদক
ঢাকার খিলক্ষেত বুলডোজার দিয়ে শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির ও প্রতিমা ধ্বংস, ভাংচুর ও প্রতিমা লুট এবং লালমনিরহাটে তথাকথিত ধর্ম অবমাননার অজুহাতে পরেশ চন্দ্র শীল ও বিষ্ণুপদ শীলের উপর হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট। শুক্রবার সকাল দশটায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ীঘর ভাংচুর, জমি দখল, হত্যা, হত্যা প্রচেষ্টা, অপহরন, নারী নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার, দেশ ত্যাগে বাধ্যকরন এর হুমকীর মত একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বক্তাগণ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম স্বৈরাচার উচ্ছেদের পর দেশে কোন বৈষম্য থাকবে না। সকল ধর্মের মানুষ সমঅধিকার ও সম মর্যাদা পাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, উপদেষ্টা পরিষদে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নাই। ১০ টি সংস্কার কমিটির একটিতেও কোন হিন্দু সদস্য নেই। বিভিন্ন সেক্টরের নিয়োগে হিন্দু সম্প্রদায় উপেক্ষিত। শুধু তাই নয় যে সংবিধান সকল নাগরিকের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মতামতও নেই।
বক্তাগণ রেল উপদেষ্টার পদত্যাগ ও তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা দায়ের, মব সৃষ্টিকারী অপরাধীদের গ্রেফতার ও মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেন। একই সংগে সারাদেশে সরকারের দখলে থাকা সকল মন্দির ও মন্দিরের জায়গা হিন্দুদের কাছে ফেরৎ দাবিসহ আগামী নির্বাচনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন পুঃপ্রবর্তনের দাবি করে বলেন, যদি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা না করা হয় তাহলে আগামী কোন নির্বাচনে হিন্দু সম্প্রদায় কোন ভোট কেন্দ্রে যাবে না, কোন ভোটে অংশগ্রহণ করবে না।