বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ‘ভুয়া কাগজপত্র’ দিয়ে তিন কোটি টাকার জমি রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ভুয়া রশিদ ব্যবহারের বিষয়টি স্বীকারও করেছে স্থানীয় ভূমি অফিস। যশোর শহরের ঘোপ এলাকার এই ছয় শতক জমি নিয়ে জাল-জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন জমি মালিক ফজলে রাব্বী। তিনি বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকে অভিযোগ করায় রোববার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

যশোর শহরের ঘোপ জেল রোড এলাকার ফজলে রাব্বী জানান, যশোর কোতোয়ালি থানার ৯২ ঘোপ মৌজায় এস.এ. ৫০৩ আর.এস ৫২৩ খতিয়ানের আর.এস. ১৭৭০ দাগে তাদের ২৮.৬৯ শত জমি রয়েছে। একসময় মোশরফ হোসেন তাদের জমি ও স্থাপনার কেয়ারটেকার ছিলেন। ওই সময় মোশরফ হোসেন ৬ শতক জমি জাল-জালিয়াতি করে ভুয়া দলিল তৈরি করেন। বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর তিনি আদালতে মামলা করেন। মামলা চলমান রয়েছে। এজন্য জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞাসম্বলিত সাইনবোর্ডও টানানো রয়েছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশনায় ওয়েবসাইটে ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধের সুযোগও বন্ধ রয়েছে।

ফজলে রাব্বী আরও অভিযোগ করেন, সম্প্রতি মোশরফ হোসেন ওই জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করেন। ওই রশিদসহ জাল দলিল ব্যবহার করে তিনি উপশহর এলাকার বাসিন্দা ফজলিয়ারা জাহান নামে এক নারীর কাছে ওই ছয় শতক জমি তিন কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। গত ৪ আগস্ট ওই জমি রেজিস্ট্রি হয়েছে। দলিল নং-১০৫৬৩/২৫। প্রভাবশালী এক কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে তিনি ওই জমি রেজিস্ট্রি করতে সক্ষম হন দাবি করেন ফজলে রাব্বী। এ বিষয়ে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে রোববার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ব্যাপারে যশোর পৌর ভূমি অফিসের নায়েব কাজী আতিয়ার রহমান জানান, সংশ্লিষ্ট জমির ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের রশিদটি তিনি দেখেছেন। এটি কম্পিউটারে তৈরি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওই জমির খাজনা পরিশোধ হয়নি। একটি প্রতারক চক্র এই জাল কাগজপত্র তৈরি করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে। তবে এ ব্যাপারে মোশরফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version