বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রোববার সকালে কালেক্টরেট সভাকক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক সভাপতিত্ব করেন। সভায় কৃষি, আইনশৃঙ্খলা, জনস্বাস্থ্য, এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য চিঠি দেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, কৃষির সাথে ফুলকে জিআই পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যশোর থেকে সারা দেশে ফুল ও সবজি প্রেরণের কাজ চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে বিদ্যালয়গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তাগিদ দেয়া হয়।
জনস্বাস্থ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র গরিব মানুষ বিনামূল্যে কুকুরের কামড়ের টিকা পাবে। পোষা বিড়ালের কামড়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। এ বিষয়ে মাইকিং করে প্রচার করার নির্দেশ দেয়া হয়। শহরের অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজগুলো ফেব্রুয়ারি মাসের আগেই শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে তাগিদ দেয়া হয়।
উন্নয়ন সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার পালবাড়ী থেকে চাঁচড়া পর্যন্ত এলাকা আলোকিত করার প্রস্তাব রাখেন।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়কের কাজ চলমান রয়েছে এবং ৮ কিলোমিটার ঢালাই করতে প্রায় এক বছর সময় লাগবে। এছাড়া পালবাড়ী-মণিহার রোডের টেকসই মেরামতের কাজ শুরু হওয়ায় সাময়িক যানজট হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান জানান, শহরের ১৭টি রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে এবং ড্রেন পরিস্কারের কাজ চলছে। তিনি বিশেষ করে এমএম কলেজ দক্ষিণ গেটের সামনের ড্রেন পরিস্কার ও সংস্কারে সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। কারণ, ড্রেনের আশেপাশে অধিকাংশ বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইন ড্রেনের সাথে সংযুক্ত। এ সমস্যার সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে।
সিভিল সার্জন মাসুদ রানা জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে কাঁচা খেজুরের রস পান না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, কাঁচা রস পানে মৃত্যুর হার ৭৫ শতাংশ।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহফুজুল হোসেন, জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন সাফায়াত, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহাবুবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। সভা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার।

