বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে তিন বছর পর কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সবশেষ ২০২২ সালের মাঝামাঝি এ জেলায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছিল। বুধবার ভোর ৬টার দিকে যশোর সদর হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন শাফায়েত। নিহত শেখ আমির হোসেন পারু (৬৮) বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুরের বাসিন্দা।
যশোর সদর হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের ইনচার্জ জুনিয়র কনসালটেন্ট রবিউল ইসলাম তুহিন বলেন, গত ৫ জুন শেখ আমির কিডনিজনিত জটিলতা নিয়ে সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন। পরে তার শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হয়।
সোমবার বিকেল ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালের মডেল ওয়ার্ড থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। শারীরে নানা জটিলতা থাকায় কোভিড আক্রান্তের পর তিনি আর সহ্য করতে পারেননি। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে ভোরে তিনি মারা যান বলে জানান জুনিয়র কনসালটেন্ট তুহিন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আইসিইউতে আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন; যাদের কোভিড উপসর্গ রয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর নিশ্চিতভাবে বলা যাবে তারা কোভিড আক্রান্ত কি-না।
এ ছাড়া হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরও একজন রোগী ভর্তি আছেন; যিনি কোভিড পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন বলে জানান এই চিকিৎসক। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, যশোরে দ্বিতীয় পর্যায়ে কোভিড আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের মাঝামাঝি করোনাভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। প্রায় তিন বছর পর আবার মৃত্যু দেখল এই জেলা।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন শাফায়েত বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দীর্ঘদিন নিম্নমুখী থাকলেও সম্প্রতি হঠাৎ করে তা বেড়েছে। বয়স্ক ও আগে থেকে যারা অন্য রোগে ভুগছেন, তারা বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স বেশির পাশাপাশি নানা জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানান এই চিকিৎসক।