বিবি প্রতিবেদক
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে যশোরে বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করায় ভোটারদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করার সময় গতকাল দুপুরে শহরের কাপুড়িয়াপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির নেতারা জানান, গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে।
তারা সরকারের ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন বয়কট করে বিএনপির অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে। এ জন্য জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করছিলেন তারা। কিন্তু পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই আকস্মিক লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠির আঘাত ও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম, সদস্য সিরাজুল ইসলামসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে লাঠিচার্জে আহত কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে বিএনপির নেতারা জানান।
ঘটনার পর শহরের বড়বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করায় জনগণকে ধন্যবাদ জানাতে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুটি দলে ভাগ হয়ে শহরের দড়াটানা মোড় থেকে হাজী মোহাম্মদ মহসীন সড়কের দিকে যান। বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগম এই দুটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। নার্গিস বেগমের নেতৃত্বাধীন অংশটি বড়বাজারের ভেতরে পৌঁছালে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করে। নেতা-কর্মীরা দৌঁড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিটি প্লাজার সামনে পুলিশের আরেকটি দল দ্বিতীয় দফায় লাঠিপেটা করে।
এ বিষয়ে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ভোটারশূন্য একটি ডামি নির্বাচন করেছে। ওই নির্বাচন সাধারণ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। লিফলেট বিতরণের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
নার্গিস বেগম বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে শান্তিপূর্ণ লিফলেট বিতরণ করেছি। কিন্তু কর্মসূচির শেষ দিকে নির্দয়ভাবে পুলিশ আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। সরকার এখন বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও ভয় পাচ্ছে। যতই হামলা হোক অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নেতা-কর্মীদের ওপর এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র বেলাল হুসাইনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি কর্মসূচি করেছে কি না, সেটা জানা নেই। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে কি না সেটাও জানা নেই।
নিউজের ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন