বাংলার ভোর প্রতিবেদক
‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশু শ্রমের শৃঙ্খল ছিঁড়ি, এগিয়ে চলি দৃপ্ত পায়, আশার আলো বুকে বুকে জ্বালি’ এই প্রতিপাদ্য স্লোগানকে সামনে রেখে যশোরে বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলম। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত র্যালি বের করা হয়। যেখানে সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর যশোর আয়োজিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজিবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় সঞ্চালনা করেন কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর যশোরের উপমহাপরিদর্শক আরিফুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বক্তারা শিশুশ্রমের ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন এবং এর পাশাপাশি শিশুদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে ফেরানোর ওপর জোর দেন। বক্তারা উল্লেখ করেন, অনেক সময় শিশুশ্রম বন্ধ করে তাদের স্কুলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলেও কিছু শিশু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে যায়। বয়সের জটিলতার কারণে স্কুলে ভর্তি এবং জন্মনিবন্ধন করাতে শিশুদের ভোগান্তির শিকার হতে হয় বলেও বক্তারা জানান।
তারা আরও বলেন, সরকার আটটি সেক্টরে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও অনেক পরিবারের শিশুরা শুধুমাত্র খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার তাগিদেই সামান্য মজুরিতে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে নাজিবুল আলম বলেন, হোটেলে শিশুশ্রমের প্রবণতা বেশি। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু আমরা যতটা সম্ভব শিশুশ্রমিক কমানোর চেষ্টা করছি। অনেক ক্ষেত্রে শিশুশ্রম বন্ধ করতে গেলে তাদের পরিবারের খরচ বহনের বিষয়টি সামনে আসে। যা একটি কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এছাড়াও, শিশুদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস, নাসিবের সভাপতি সাকের আলী, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান মজনু, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এবং এনজিও কর্মী আব্দুর রহমান প্রমুখ।#