বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রঘোষিত ‘শহীদী মার্চ’ দুই পক্ষের পৃথক কর্মসূচি পালন করেছেন যশোরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে ও বিকালে সংগঠনটির ব্যানারে তারা এই কর্মসূচি পালন করে।
বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে রক্তাক্ত জুলাইয়ে নিহত শহীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। রাশেদ খান নামে এক শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। সন্ধ্যায় শহীদ মিনারে গণজাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়।
অপরদিকে, সকালে জেসিনা মূর্শীদ প্রাপ্তি, মাসুম বিল্লাহ, নূর ইসলামের নেতৃত্বে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে থেকে ‘শহীদি মার্চ’টি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থীরা। বক্তব্য শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে নিহত ছাত্র জনতার স্বরণে এক মিনিট নিরবতা পালন ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করে কর্মসূচি শেষ হয়। একই দিনে পৃথক দুটি গ্রুপের পৃথক সময়ে কর্মসূচির ডাকে যশোরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রুপিংয়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
একপক্ষের নেতৃত্বদানকারী জেসিনা মুর্শীদ প্রাপ্তি বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের অপর গ্রুপটি নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কারণ গত ১৫ আগস্ট কেন্দ্রের কর্মসূচি ছিল আন্দোলনে আহতদের খোঁজ খবর নেয়া। আমাদের ওপর গ্রুপটি ওই দিন কেন্দ্রের কর্মসূচি অমান্য করে বাউল সংগীতের আয়োজন করে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করায় আমরা আলাদা হয়ে যাই। তবে আমরা সকলে একসাথে দেশ সংস্কারের কাজ করতে চাই। আমাদের মধ্যে কোন প্রতিহিংসা চাই না।’
অপর পক্ষের নেতৃত্বদানকারী রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা আন্দোলন থেকে শুরু করে গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত দলমত নির্বিশেষে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। যার ফলে বিগত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে। এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে, তখনই একপক্ষ তাদের স্বার্থের টান পড়াতে পৃথক হয়ে গেছে। তারা আলাদা কর্মসূচি করলেও শিক্ষার্থীদের জনমত উপস্থিতি আমাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, গ্রুপিং দ্বন্দ্ব নিয়ে নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা বিষয়টি দেখবেন। ’