বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মারধর করে ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর সদর উপজেলার বাদিয়াটোলা গ্রামের মিলন হোসেনের মেয়ে ফারজানা আক্তার মুন্নি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন পিবিআইকে।

আসামিরা হলেন, যশোরের আব্দুলপুর গ্রামের নূর আলম, তার বাবা মোকলেচুর রহমান ও মা রেবেকা বেগম। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল পারিবারিকভাবে ফারজানা আক্তারের বিয়ে হয় নূর আলমের সঙ্গে।

বিয়ের সময় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকার মালামাল দেয়া হয় কনের পরিবারের পক্ষ থেকে। বিয়ের কয়েক মাস পর নূর আলম মালয়েশিয়া চলে যান। চলতি বছরের ৩ সেপ্টেম্বর নূর আলম ছুটিতে দেশে ফিরে এসে আইফোন ও মোটরসাইকেল কেনার জন্য ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফারজানার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে গত ২৫ অক্টোবর ফারজানা গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গর্ভের সন্তান নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে। ৪ নভেম্বর চিকিৎসার অজুহাতে আসামিরা তাকে গাছড়া ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। ওষুধ খেতে রাজি না হলে আসামিরা ফারজানাকে বেদম মারধর করে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে বাবার বাড়িতে রেখে আসা হয়।

পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা জানান, গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version