বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে জেলা মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক ও যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান, সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম, যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হুসাইন সাফায়েত, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
সভায় জেলার বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়। যানজট ও মশা নিধনের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান। সড়ক ও জনপদ বিভাগ জানান, নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া সড়কটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের মধ্যে আনা হবে। পালবাড়ি টু মণিহার রাস্তার সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শুরু হবে। এছাড়া যশোর খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গা অংশের দুই লেনে প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকা ঢালাইয়ের মাধ্যমে সংস্কার করা হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষে জানানো হয়, জেলা প্রশাসকের প্রচেষ্টায় এই জেলায় এখনও পর্যন্ত সারের কোনা সংকট হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামীতেও এই সংকট হবে না।
জেলা প্রাথমিক অফিসের পক্ষে জানানো হয়, প্রি-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ বই তাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। এছাড়া প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধেক বই এসেছে। আগামী মাস থেকে জেলার তিনটা উপজেলা কেশবপুর, ঝিকরগাছা ও অভয়নগরে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু হবে। প্রত্যেকটা বিদ্যালয়ের শতভাগ ছাত্রছাত্রী এই খাবার পাবেন।
জেলা মৎস্য অফিসের পক্ষে জানানো হয়, যশোরের ঐতিহ্যবাহি কই মাছ জিআই পণ্য করার প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া দেশি মাছের ঐতিহ্য ধরে রাখতে প্রত্যেকটা উপজেলায় একটা করে দেশি মাছের আবাদস্থল তৈরি করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে র্যাবিস ভ্যাকসিন না পাওয়ার কথা জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সুপার জানান, নতুন করে রাস্তা সংস্কার করা হলে অবশ্যই রাস্তার ভিতরে ডিভাইডার, জেব্রা ক্রসিং দিতে হবে। তাহলে রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের বদলি জনিত কারণে সভাটি সংক্ষিপ্ত করা হয়। শুধু জেলা প্রশাসক নয় গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে কর্মকর্তাদের অনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ ক্রেস্ট প্রদানের মাধ্যমে বদলি জনিত বিদায় দেয়া হয়।
জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকসহ অন্য তিন কর্মকর্তার বিদায়ে স্মৃতিচারণ করেন। তারা বদলিজনিত কারণে বিদায় নেওয়া এই কর্মকর্তাদের কাজের প্রশাংস করেন এবং সুন্দর আগামীর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমরা যে যেখানে কাজ করি না কেন ভালোবাসা রেখে কাজ করা গেলে সব কিছু সামলিয়ে নেয়া যায়। আমরা যখন চাকরি করি সেটা বেঁচে থাকার জন্য, নাকি নিজের জন্য, নাকি জনগণের জন্য করব সে সিদ্ধান্ত নেয়াটা জরুরি। আমরা এখানে টিম হিসেবে কাজ করি। রাজনৈতিকভাবে ও অবস্থানগতভাবে যশোর গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে সরকারের নজর থাকে। তিনি সভায় উপস্থিত সবার মঙ্গল কামনাসহ যশোরের আরও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
