বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম শহীদ ‘চারুবালা কর’ স্মরণে স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হতে যাচ্ছে। আজ (রোববার) সকালে চারুবালার আত্মত্যাগের ৫৩ বছর পূর্তিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ একথা জানান।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি হারুণ অর রশিদ বলেন, ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ যশোরবাসীর কাছে ঐতিহাসিক দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল এই দিনে। পাক হানাদার বাহিনীর নির্বিচার গুলিবর্ষণে এই দিনে যশোরে প্রথম শহীদ হয়েছিলেন চারুবালা কর। যশোরের নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে তার সমাধি দেয়া হয়। কিন্তু সেই সমাধিস্থল বেদখল হয়ে গেছে। খুঁজে পাওয়া যায়নি সমাধিস্থলে স্থাপিত মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নারী শহীদ চারুবালা করের স্মৃতিফলক।
অবশেষে শহীদ হওয়ার ৫৩ বছর পর নির্মিত হচ্ছে একাত্তরের ৩ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুলিতে নিহত দেশের প্রথম ‘শহীদ চারুবালা কর স্মৃতিস্তম্ভ’।
যশোর নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির উদ্যোগে মহাশ্মশান চত্বরে জায়গা নির্ধারণ ও নকশা তৈরি করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। তাই আর প্রতীকী নয় ২০২৫ সালের এই দিনে নতুন ও স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ চারুবালা করকে শ্রদ্ধা জানানো হবে।
এদিকে, গতকাল (৩ মার্চ) সকালে যশোর নীলগঞ্জ মহাশ্মশানে শহীদ চারুবালা করের স্মৃতি রক্ষায় নতুনভাবে নির্মিতব্য স্থানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখা, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও যশোর নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যশোর জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক বাংলার ভোর-এর উপদেষ্টা সম্পাদক হারুণ অর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান বকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেসক্লাব যশোরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন, দৈনিক স্পন্দনের নির্বাহী সম্পাদক মাহবুব আলম লাভলু, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী প্রণব দাস, শরিফুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন মঞ্জু, অদিতি সরকার প্রমুখ।
এরপর দুপুরে নীলগঞ্জ মহাশ্মশান কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ নির্মিতব্য সমাধিস্থলে একমিনিট নিরবতা পালনসহ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। এ সময় নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রীয়ভাবে চারুবালা করের সমাধিস্থল সংরক্ষণের দাবি জানান।