বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে মাসুদ রানা নামে এক মোটর গ্যারেজ মালিককে তুলে নিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী বৈশাখী খাতুন। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। মাসুদ রানা যশোর সদর উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় শানতলা মোড়ের সততা মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টারের মালিক।
বৈশাখী খাতুনের অভিযোগ, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি বাজারের শানতলা পেপসির মোড় এলাকায় আমার স্বামী মাসুদ রানার একটি সততা মোটরসাইকেল সার্ভিসিং সেন্টার নামে একটি গ্যারেজ আছে। সেখানে কর্মরত অবস্থাগ গত ৩০ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি গাড়ি এসে গ্যারেজের সামনে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে সিভিল পোশাকের একজন লোক কোন কথা বার্তা ছাড়াই আমার স্বামী মাসুদ রানাকে বিনা কারণে ধরে নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তার সাথে কথা বলতে চাইলে, কোন কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।
পরের দিন আমরা জানতে পারি মাসুদ রানার নামে ১ মে অস্ত্র মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়েছে, ৩০ মে রাত ১১ টা ১০ মিনিটের দিকে কোতয়ালি থানার নাজিরশংকরপুর সাদেক দারোগার মোড়ের ভুতের বাড়ি নামক পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্য থেকে মাসুদ রানা ও আমিনুর রহমানকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাতেনাতে আটক করে। তারা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থাকার কথা স্বীকারও করেছে। কিন্তু এজাহারের সঙ্গে আমার স্বামীকে আটকের ঘটনার সঙ্গে কোন মিল নেই।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে গ্রেফতারের পর আমার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। বর্তমানে নবজাতক কন্যা ও আমি অসুস্থ। আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি স্বামী। কিন্তু তিনি জেল হাজতে থাকায় আমাদের পরিবার ও চিকিৎসা খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। স্বামীর নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত জানান, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়। অস্ত্র মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।