বাংলার ভোর প্রতিবেদক
হটাৎ গরম বেড়ে যশোর ও ঢাকাসহ দেশের ৩৯ জেলায় বইছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এ তাপমাত্রা বেড়ে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তাপপ্রবাহ আরও বিস্তৃতি লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (১ এপ্রিল) সিলেট ছাড়া দেশের আর কোথাও বৃষ্টি হয়নি। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। যশোর ও ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলেই গরমে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় বাড়ছে অস্বস্তি। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল ঈশ্বরদী ও মোংলায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, কোনো বিস্তৃত এলাকাজুড়ে নির্দিষ্ট সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মৃদু, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি থাকলে মাঝারি ও ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তাকে অতি-তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ী ভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলাসহ রাজশাহী (৮ জেলা), ঢাকা (১৩ জেলা), খুলনা (১০ জেলা) ও বরিশাল (৬ জেলা) বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত ও বিস্তার লাভ করতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি। যশোর আবহাওয়া অফিস থেকে সার্জেন্ট আজিজুল জানান, মঙ্গলবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে যশোরে এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করবে।