বাংলার ভোর প্রতিবেদক
পবিত্র রমজানে যশোরে সুলভ মূল্যে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে আফিল এগ্রো লি. এই ডিম-মুরগি বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আফিল এগ্রো লি. এর চাঁচড়ার কার্যালয়ে ৯ টাকা ৪০ পয়সা পিস হিসেবে মুরগির ডিম এবং ১৭৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সুলভ মূল্যে এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
যশোর জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় আজ (সোমবার) সকালে সুলভ মূল্যে এই ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলম লাভলু ও সরকারি মুরগির খামারের উপ-পরিচালক বখতিয়ার হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক জানান, বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে, আর ডিম বিক্রি হচ্ছে দশ থেকে সাড়ে দশ টাকা পিস হিসেবে। এই বাজার দরকে একটু সহনীয় করতে জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সহযোগিতায় এই সুলভ মূল্যে ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি কার্যক্রমের শুরু করা হয়েছে। এখানে ৯ টাকা ৪০ পয়সা পিস হিসেবে মুরগির ডিম এবং ১৭৫ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রমজান মাস জুড়ে সুলভ মূল্যে এই বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
আফিল গ্রুপের পরিচালক মাহবুব আলম লাবলু জানান, আফিল গ্রুপের আফিল এগ্রো লি. প্রতিদিন চার লাখ পিস ডিম উৎপাদন করে থাকে। রমজান মাসে সাধারণ মানুষের প্রয়োজন বিবেচনায় আমিষের ঘাটতি পূরণে সুলভ মূল্যে এই ডিম ও মুরগি বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও চাঁচড়ায় আফিল গ্রুপের এই বিক্রয় কেন্দ্রে সুলভ মূল্যে নিজেদের খামারে উৎপাদিত সবজি ও মাছও বিক্রি করা হয়ে থাকে। সব পণ্যই বাজার মূল্যের চেয়ে কমে বিক্রি করা হয়।
সুলভ মূল্যে ডিম কিনতে আসা রেলগেট এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ২১০ টাকা করে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে। এখানে ১৭৫ টাকা কেজি শুনে কিনতে এসেছি। দু’কেজি মুরগিতে ৫০/৬০ টাকা সাশ্রয় হবে। আবার ডিমের দামও বাজারের চেয়ে এক টাকা কম। ৩০টি ডিমের একট্রেতে ৩০ টাকা বেঁচেছে। এটাও আমাদের মত গরীব মানুষের জন্য অনেক।