বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে৷ তারা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের শেখ আমির হোসেন (৬৮) ও মনিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের ইউসুফ হোসেন (৪২)। এ নিয়ে গত পাঁচ দিনে যশোরে তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজন সন্দেহভজন হিসেবে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (১৮ জুন) ভোরে আমির হোসেন ও রাত ১২ টার দিকে ইউসুফ হোসেন মারা যান৷ মৃত্যুর মাত্র দুই ঘন্টা আগে ইউসুফের করোনা শণাক্ত হয়। তারা দুজনই যশোর জেনারেল হাসপাতালে সাধারণ রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাদের আইসিইউতে শিফট করা হয়েছিলো৷
উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাদের পরিক্ষা করানো হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, আইসিইউর দায়িত্বে থাকা ডাক্তার তাকে ওভারফোনে করোনা পজিটিভে এক রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার ভোরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে শেখ আমির হোসেন পারুল (৬৮) নামে একজন মারা যান। তিনিও করোনা আক্রান্ত ছিলেন।
#কিটের অভাবে কোভিড পরীক্ষা বন্ধ: এদিকে কিটের অভাবে যশোরে কোভিড পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বেসরকারি ক্লিনিকের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টই এখন একমাত্র ভরসা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ জানিয়েছেন, করোনা পরীক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিপিসিআর ল্যাব নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। সেটা পাওয়া গেলে তারা ল্যাবে কোভিড পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন সাফায়েত বলেন, করোনা পরীক্ষার কিছু কিট রয়েছে কিন্তু সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। কিটের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে দুই হাজার কিট হাতে পাওয়া যেতে পারে। সরকারিভাবে যবিপ্রবি’র আরটিপিসিআর ল্যাবে ২০২৩ সালের ২১ জুলাই পর্যন্ত যশোরসহ এ অঞ্চলের সাত জেলার ১ লাখ ৬ হাজার ৩২৬টি কোভিড নমুনা টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ২২ হাজার ৭৯৯টি পজিটিভ ছিল।