বাংলার ভোর প্রতিবেদক

যশোর জেলা ফুটবল রেফারীজ এসোসিয়েশনের বর্তমান কমিটির নানা অনিয়ম তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদ। বুধবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি মুক্ত রেফারি সমিতি গঠনের লক্ষ্যে তাদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করা হয়।

সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী খুরশিদ জাকির হোসেন। লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, বর্তমান কমিটি তিন বছর আগে বিজয়ী হয়ে সকল সদস্যদের গঠনমূলক মতামত নিয়ে এসোসিয়েশন পরিচালনার জন্য অঙ্গীকার করেন। কিন্তু এসবের কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। সময় যত গড়িয়েছে ততই তারা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে গত নির্বাচনে বর্তমান কমিটির বিপক্ষে যারা নির্বাচন করেছিল বা যারা নির্বাচনে সহযোগিতা করেছিল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে ফুটবল ম্যাচ পরিচালনা করতে দেয়া হয়নি। যার প্রতিফলন ঘটে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় আন্তঃউপজেলা অনূর্ধ্ব-১৭ বালক ও বালিকা ফুটবল প্রতিযোগিতায়। যোগ্যতা সম্পন্ন রেফারি থাকার পরও নন কোয়ালিফাই রেফারি নিয়ে খেলা পরিচালনা করা হয়।

এছাড়া ফুটবল রেফারি এসোসিয়েশনের মাদার সংগঠন হল জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন। এই সংস্থা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনের কাছে রেফারি চাইলে তারা রেফারি সরবরাহ করতে বাধ্য। কিন্তু বর্তমান কমিটির কাছে মাদার সংগঠন রেফারি চাইলেও তারা লিগের খেলা শুরুর আগের দিন রাতে রেফারি দিতে সক্ষম নয় বলে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি প্রদান করেন। এর ফলে উদীয়মান রেফারিরা খেলা পরিচালনার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

শুধু তাই নয়, রেফারি সমিতির সহসভাপতি শহিদুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে বেশ কয়েকজন রেফারিকে শোকজ ধরিয়ে দেয়া হয়। শহিদুর রহমান সহসভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও বর্তমান কমিটির পক্ষ থেকে তার স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

বিভিন্ন সময়ে খেলার নামে রেফারিদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বর্তমান কমিটি। যার কোন হিসাব আজও দাখিল করা হয়নি। প্রশাসনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ১০০ বস্তা ও দুই টন চাল পেলেও তা রেফারিদের মধ্যে বিতরণ না করে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রিকৃত চালের অর্থ সমিতির ফান্ডে জমা করা হয়নি।

নির্বাচন কমিশন তাদের সাথে পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করে জানান, এই নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। তারা একটি পক্ষকে সুবিধা দিতে মিশনে নেমেছে। এই অবস্থা একটি সংগঠনের জন্য কখনই সুখকর নয়।

সংস্থার এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য হারুন-বাচ্চু-মিঠু পরিষদে ভোট প্রদানের আহবান জানান।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version