বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জংশন থেকে পদ্মাসেতু হয়ে চারটিসহ ঢাকায় ৫টি ট্রেন যাতায়াতের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে যশোরবাসী। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে স্মারকলিপি প্রদানকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, স্বপ্নের পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পে যশোরবাসীর সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। এতদিন যশোর থেকে তিনটি ট্রেন চিত্রা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকায় যাতায়াত করতো। কিন্তু পদ্মাসেতু রেলপ্রকল্পের মাধ্যমে যশোরের জন্য মাত্র একটি ট্রেন রাখা হয়েছে। খুলনা-ঢাকার ট্রেন যশোরের সীমান্তবর্তী পদ্মবিলা জংশন হয়ে ঢাকায় যাবে। পদ্মবিলায় গিয়ে যশোরবাসীর পক্ষে এই ট্রেনে যাতায়াত বাস্তবতা বিবর্জিত। পাশাপাশি কোটচাঁদপুর সাফদালপুর এবং মোবারকগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাওয়ার কোন ট্রেনই থাকছে না। এই সমস্ত সমস্যা চিহ্নিত করে রেল যোগাযোগ উন্নয়নের স্বার্থে পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে সংগ্রাম কমিটি।
দাবিগুলো হলো, বেনাপোল থেকে ঢাকায় দুটি ট্রেন, দর্শনা থেকে যশোর হয়ে ঢাকার দুটি ট্রেন ও খুলনা থেকে যশোর ঈশ্বরদী যমুনা সেতু হয়ে অন্তত একটি ট্রেন বহাল রাখতে হবে। ঢাকায় অফিস ধরার মতো সময়ে যশোর জংশন থেকে ট্রেন দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেনে সুলভ বগি এবং ফুল, মাছ ও সবজিবাহী বগি (ভেণ্ডার) যোগ করতে হবে। ট্রেনের ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নামাতে হবে। নিবন্ধনের বাইরেও টিকিট প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সিনিয়র সিটিজেনদের টিকিট প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, বৃহত্তর যশোর রেল যোগাযোগ উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক কৃতি খেলোয়াড় কওসার আলী, সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, বাংলার ভোরের উপদেষ্টা সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুণ অর রশিদ, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, নুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবু হাসান, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান মিলন, সাঈদ আহমেদ নাসির শেফার্ড, আহাদ আলী মুন্না প্রমুখ।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম নেতৃবৃন্দের কাছে দাবির যৌক্তিকতা অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।