প্রতীক চৌধুরী
যশোর পৌরসভার তিনটি হরিজন কলোনীর দেড় শতাধিক পরিবার দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। বিল বকেয়ার অভিযোগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়ন ও যশোর পৌরসভা শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। এদিন কাজ না করায় শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নাগরিকরা। আজ শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে হরিজন কলোনীর সদস্যরা।
হরিজন কলোনীর সদস্যদের দাবি, তাদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে পৌরসভা। ফলে বকেয়া পরিশোধের দায়িত্বও পৌরসভার। কিন্তু পৌরসভা বিল পরিশোধে টালবাহানা করায় গত রোববার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ মেলেনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হরিজনদের আন্দোলনের কারণে শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার স্তুপ জমে গেছে। রাস্তার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে আবর্জনা। গোটা শহরের মোড়ে মোড়ে ময়লার ভাগাড়ের অবস্থা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা নাকে কাপড় দিয়ে যাতায়াত করছেন। হরিজনরা দুই দফা দাবি আদায়ে অনঢ় রয়েছেন। তাদের দাবি, বিদ্যুৎ বিল পৌর কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। একই সাথে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিরণ লাল সরকার বলেন, যশোর পৌরসভার তিনটি হরিজন কলোনীতে দেড় শতাধিক পরিবারের বসবাস। এই কলোনীর বাসিন্দাদের দেখভালের দায়িত্ব পৌরসভার। বিদ্যুৎ বিলও পৌরসভার পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হয়। সম্প্রতি বিল বকেয়া দাবি করে কলোনীর বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় পৌরসভার কাছে মোটা অংকের বিল বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোধ না করলে সংযোগ দেয়া হবে না। আমরা পৌরসভার মেয়রকে বিষয়টি অবহিত করেছি। কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি। অথচ আজীবন ধরে হরিজন কলোনির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে আসছে পৌরসভা। বর্তমান মেয়র বলছে, আমাদের দায়-দায়িত্ব নেবে না। এজন্য আমরা সোমবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছি। আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের হরিসভা মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হবে। আমাদের দাবি, বিদ্যুৎ বিল পৌর কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। একই সাথে বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুণ্ডু জানান, শুনেছি বিদ্যুৎ বিভাগ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করেছে। মিটারে টাকা রিচার্জ না করায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে হরিজনরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে কোন কিছু অবহিত করেনি। একাংশ সোমবার কর্মবিরতি করেছে। কিছু লোক কাজে আসলেও তাদের কাজ করতে দেয়নি। এজন্য ময়লা আবর্জনা পুরোপুরি পরিস্কার হয়নি। পৌর কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান করবেন।
শিরোনাম:
- অশান্ত পার্বত্য তিন জেলা : সহিংসতায় নিহত ৪
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস
- যশোরে নারী সিএসও ও পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনে কর্মশালা
- সাবেক এমপি ইয়াকুবের বিরুদ্ধে মাছ লুটের মামলা
- যশোরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মানববন্ধন
- ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা অসহিষ্ণু আচরণ করে ছাত্র সমাজকে কলঙ্কিত করছে’
- যশোরে মাংস ও ডিমের দাম চড়া : নিম্ন ও মধ্যবিত্তের পাতে আমিষের টান
- চার দশকে ‘হাজার কোটি টাকা’ জলে ভবদহের ৩৪১ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি