বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের বিনিয়োগীকারীরা বিক্ষোভ করেছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পার্কের উত্তর গেট সংলগ্ন যশোর-খুলনা মহাসড়কে বিক্ষোভে অংশ নেন বিনিয়োগকারী ৩৫ কোম্পানির মালিক পক্ষ, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের দাবি, অবিলম্বে হাইটেক পার্ক অথরিটির এমডির পদত্যাগ, ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ, ভাড়া কমানো, বিনিয়োগকারীদের ব্যবসায়িক ক্ষতিপূরণ, ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের সমাধান, পার্কে ব্যবসায়িক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ইনভেস্টরস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন, সংগঠনের সভাপতি আহসান কবীর, সহ-সভাপতি ইমানুর রহমান ইমন, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শাহজালাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ নাহিদুল ইসলাম। আরো বক্তৃতা করেন বিনিয়োগকারী জাকারিয়া হোসেন শুভ, ভিক্টর সাহা। সভাপতিত্ব করেন বিক্ষোভ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক পারভেজ মাহমুদ হিরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রায় ৬ মাস হতে চললেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও তা সচল রয়েছে। তারা একের পর এক ব্যবসায়িকদের সাথে সাংঘর্ষিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম আমিরুল ইসলাম কোন বিনিয়োগকারীদের সাথে দেখা বা কথা বলেন না। পার্কের নানান অংসগতি থাকলেও তার সুরাহার কোন উদ্যোগ তিনি নেন না। এমনকি যশোর সফটওয়্যার পার্ক পরিদর্শনে এসেও কোন বিনিয়োগকারীদের সাথে আলোচনায় বসেননি। অথচ তিনি মিটিং করেন ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল টেকসিটির কর্মকর্তাদের সাথে। ৫ আগস্টের পর কিভাবে ওই ফ্যাসিস্ট দালালরা এখনো এই পার্কে অবস্থান করে। এটা যশোরের মানুষ জানতে চাই।
বক্তারা আরো বলেন, টেকসিটির দুর্নীতি অনিয়ম-অব্যবস্থাপনাও ছিল ওপেন সিক্রেট। অসম, গণবিরোধী এই চুক্তি বাতিলের দাবিতে স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসেছেন। এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বহু রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান ও তার আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু পরিচয়ধারী ওয়াহেদ শরীফের দৌরাত্ম্য এতো বেশি ছিল যে টেকসিটিকে হটানোর সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। এর আগে ১০ দফা দাবিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক যশোরের বিনিয়োগকারীরা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা এক সভায় টেকসিটিকে বাতিল করার সিদ্বান্ত দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি বলেও দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা।