বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ ও জিপিএ প্রাপ্ত ৩৩ শিক্ষার্থীকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের ইতিহাস বিভাগ থেকে তারা পরীক্ষায় অংশ নেন। মঙ্গলবার বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে ‘সার্টিফিকেট অব অ্যাসিভমেন্ট’, শুভেচ্ছা উপহার বই ও ফুল দিয়ে এই সম্মাননা জানানো হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা নিজেদের জমানো টাকায় বিভাগের সম্মান প্রথম বর্ষ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ বর্ষ পর্যন্ত মেধাবী ও শ্রেণিকক্ষে বেশি উপস্থিতধারী ১০ শিক্ষার্থীকে এককালীন বৃত্তি বাবদ নগদ টাকা, অভিনন্দনপত্র ও প্রীতি উপহার হিসেবে প্রত্যেকের হাতে তিনটি করে বই তুলে দেন। এছাড়া বিভাগের উন্মুক্ত গ্রন্থগারে বই ও বিভিন্ন ধরণের শিক্ষামূলক সাময়িকী সংযুক্ত করেন তারা। একই সাথে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে তারা নিজেদের সাফল্যের জন্য মিষ্টিমুখের মাধ্যমে আপ্যায়ন করেন। আজ সকাল দশটায় ইতিহাস বিভাগের স্মার্ট শ্রেনিকক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামীমা আখতার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহ্জাহান কবীর। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নূরুন্নবী হৃদয় ও হামিদা হিমু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানা ও শাহরিয়ার ইমন। আয়োজকেরা জানান, এ বছর এই কলেজের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতক কোর্সের চূড়ান্ত পরীক্ষায় ২১২ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ সিজিপিএ ও জিপিএপ্রাপ্ত ৩৩ জন। শিক্ষার্থীদের কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য উদযাপন ও অনুপ্রাণিত করতে প্রথমবারের মত বিভাগে এ ধরণের আয়োজন করা হয়। সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা যে ধারার সূচনা করেছি; আগামীতে যেন এ ধারা অব্যাহত থাকে’। সাংস্কৃতিক পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন স্বপ্না খাতুন ও হামিদা হিমু। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সহকারী অধ্যাপক খোন্দকার হাফিজুল ইসলাম, শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক হোসেন, নুরুন্নবী ও শিমন হোসেন। নৃত্য পরিবেশন করেন বন্যা বিশ্বাস ও স্বার্ণালি রাজবংশী।