বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় লটারি পদ্ধতি চালু হওয়ায় মেধার অবমূল্যায়ন হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যশোর জিলা স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে এই প্রথা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, মেধার পরিবর্তে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলে প্রকৃত মেধাবীরা তাদের প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাদের মতে, যশোর জিলা স্কুলসহ সকল সরকারি বিদ্যালয় সত্যিকারের মেধাবীদের আশ্রয়স্থল হওয়া উচিত।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছে, একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায় একটি লটারির নম্বরে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হতাশাজনক। তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির একমাত্র মানদণ্ড হওয়া উচিত মেধা, ভাগ্য নয়। একটি স্বচ্ছ ও প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করার প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন তারা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেছেন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় লটারি প্রথা বাতিল করে পূর্বের মতো পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভর্তি ফিরিয়ে আনতে হবে। বিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং বৈশাখী অনুষ্ঠান, ঘুড়ি উৎসব ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম কোনো ব্যবসায়িক বা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে দেয়া যাবে না। বিদ্যালয়ে একটি সুপরিকল্পিত কালচারাল ও স্পোর্টস ক্লাব গঠন করতে হবে।
যশোর জিলা স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করেছেন, জেলা প্রশাসন তাদের এই দাবিগুলো বিবেচনায় নিয়ে লটারি প্রথা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যার ফলে মেধার সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version