বিবি প্রতিবেদক
অগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ঝুলন্ত অবস্থার নিরসন হচ্ছে না। হাইকোর্টের চেম্বার আদালত তার প্রার্থীতার পক্ষে রায় দিলেও প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান সংসদ সদস্য বহুলালোচিত রনজিত কুমার রায় নৌকার প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের দাবিতে রিভিউ আপিল করেছে। এতে করে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় পিছিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী এনামুল হক বাবুল। তার নির্বাচনী এলাকা বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
আ.লীগ প্রার্থী এনমুল হক বাবুলের প্রার্থীতা গত ১৩ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের আপিল কমিটি ঋণখেলাপির অভিযোগে বাতিল করে। পরবর্তীতে এনামুল হক বাবুল নির্বাচন কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করে সেখানে এনামুল হক বাবুলের রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। ১৯ ডিসেম্বর এনামুল হক বাবুলের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। আদালত থেকে বৈধতা ফিরে পেলেও বাঘারপাড়া নির্বাচনী এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে দেখা যায়নি। দেখা যায়নি কোন প্রচার প্রচারনার মাইক বা পোস্টার।
এনামুল হক বাবুল বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই আমি ঢাকায় নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় দিন পার করছি। স্বাভাবিকভাবে ভোটের মাঠে ভোট করার জন্য যে সময় দিতে হয় আমি আইনের মারপ্যাচের কারণে দিতে পারিনি। অন্যদিকে বাঘারপাড়ায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে প্রতিদিনই চলছে গ্রুপিং রাজনীতি। এমনকি কমিটি গঠন নিয়ে বাঘারপাড়ায় হাতাহাতির মতো ঘটনা ঘটে। তবে ৮ সদস্যর পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী বিশ^াস। সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেন বিশ্বাস, যশোর মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক ডা. নিকুঞ্জ বিহারী গোলদার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার অধিকারী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল কবির বিপুল ফারাজী, দোহাকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোতালেব তরফদার এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে। কমিটি গঠন হলেও এখন পর্যন্ত তেমন কোন কর্মকান্ড চোখে পড়েনি শুধুমাত্র দলীয় কোন্দলে। অপরদিকে তিন বারের সংসদ সদস্য ও বর্তমান এমপি রনজিৎ কুমার রায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে এখনো বহাল আছেন ভোটের মাঠে। তবেব নির্বাচনী ময়দানে তাকে বা তার কোন অনুসারী এবং পোস্টার দেখা না গেলেও গোপনে ভোটের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
রনজিৎ রায় বলেন, ‘আমি ভোটের মাঠে নেই আমার কোন কর্মী সমর্থক যদি আমার জন্য প্রচার প্রচারণা চালায় আমি তো কাউকে নিষেধ করতে পারিনা এটা গণতন্ত্রের দেশ। আগামী জানুয়ারি দুই তারিখে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরো ৬ জন বিচারপতি নিয়ে এনামুল হক বাবুলের প্রার্থীতা বাতিলের রিভিউ শুনানি রয়েছে তারপর আমি ভেবে দেখবো।
তবে এই আসনে অন্য প্রার্থীরা তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদমে তৃনমূল বিএনপির এম শাব্বির আহম্মেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মন্ডল ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হক।
শিরোনাম:
- ষাটোর্ধ্ব মায়েদের শীতবস্ত্র ও চাল দিল জয়তী সোসাইটি
- ব্লাকমেইল চক্রের নয় সদস্য আটক যশোরে
- ১৫ বছর পর মিটু হত্যাকাণ্ডের আসামি আটক পিবিআই’র
- যশোরে অবৈধ মবিল কারাখানায় ভোক্তার অভিযান, লাখ টাকা জরিমানা
- চৌগাছায় দুইশ’ কিশোরীকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ বোনাসের চেক বিতরণ
- সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিতে এসে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে যশোর সওজ প্রকৌশলী
- খুলনায় খেয়াঘাট দখল নিতে হামলা, বিএনপি নেতাসহ ৯ জনের নামে মামলা
- চৌগাছায় প্রাইভেট কারসহ তিন ছিনতাইকারী আটক