বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যৌতুকের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন খাদিজা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে গত ১ মে দুপুরে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি তার বাবার বাড়ি শার্শার চালিতাবাড়িয়ায় অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তার স্বামীর বাড়ি উপজেলার সনাতনকাটি গ্রামে।
খাদিজা খাতুন বাদী হয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে তার স্বামী মো. জনি (৩৫), শাশুড়ি আলেয়া খাতুন (৪৫), ননদ মিরা খাতুন (৩৫) ও ছোট ননদ মিনা খাতুনের (২৬) বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে খাদিজা জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কলাগাছের পাতা কাটা নিয়ে তার শাশুড়ির সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শাশুড়ি তার স্বামীর কাছে নালিশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী জনি তাকে বেদম মারধর করে। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তার শাশুড়ি হঠাৎ করেই তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে খাদিজার পেট ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়।
খাদিজা আরও অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ও শাশুড়ি যৌতুকের জন্য তার উপর চাপ সৃষ্টি এবং প্রায়ই মারধর করতেন। তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা তাদের দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও তারা টাকার জন্য মারধর এবং তার বাবার বাড়ি থেকে জমি বিক্রি করে টাকা এনে দিতে বলতেন। অন্যথায় তাকে জীবননাশের হুমকি দিত।
খাদিজা বলেন, তার বাবা-মা বেঁচে নেই এবং বর্তমানে তিনি তার সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চরম অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, জমি বন্ধক রাখার নাম করে তার হাতের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল। এখন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে তাদের কাছে স্ট্যাম্পে তার স্বাক্ষর থাকায় তিনি তাদের কিছুই করতে পারবেন না।
এবিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জানান, অভিযোগটি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।