রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ মণিরামপুর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের এসএম ইয়াকুব আলীর পক্ষে কাজ করায় মণিরামপুর উপজেলার ১০ নম্বর মশ্বিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন একজনকে মারপিট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, নৌবাহিনীতে চাকরিরত ছেলের জন্য প্রত্যয়নপত্র আনতে গেলে পিতা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জহুরুল হককে গালি-গালাজ করে কাগজ পত্র ছুড়ে ফেলে দেন চেয়ারম্যান আবুল হোসেন। এ সময় তিনি জহুরুলকে গালি দিয়ে বলেন ‘ভাত খাবা নাঙ্গের আর গীত গাবা ভাতারের।’ ঈগলের নির্বাচনী এজেন্ট জহুরুল প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করেন। এ সময় চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য মোখলেসুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, আফজাল খাঁ, সেলিম মেম্বারসহ আরো কয়েকজন জহুরুলকে পিটাতে পিটাতে ও টেনে হেঁচড়ে পরিষদ থেকে প্রায় ১শ গজ দুরে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে আসে।
পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়ে মণিরামপুর হাসপালে ভর্তি করে। গতকাল বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মশ্মিমনগর ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ে ক্ষিপ্ত হযেই তিনি জহুরুল হককে মারপিট করেন। আহত জহুরুল হকের পরিবার সূত্র জানিয়েছে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, চেয়ারম্যানের এই জঘন্যতম কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউনিয়নবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ঈগল প্রতীকের এসএম ইয়াকুব আলি কাছে।
শিরোনাম:
- তিন দাবিতে যশোরে চাকরি প্রত্যাশীদের মানববন্ধন
- বন্যার্তদের গৃহ মেরামতে মৈত্রী ভলান্টিয়ার্স
- যত বড় সমন্বয়ক হোক অপরাধ করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন
- দুই মাস পর জানা গেল মেয়েটি ধর্ষণের পর হত্যার শিকার
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাথমিক তালিকায় ১৪২৩ মৃত্যু
- উপশহর বি-সি ব্লক বাজার কমিটির সভাপতি মেজে, সম্পাদক ফুয়াদ
- রোববার যশোরে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ
- বিএনপি নেতা মিজান খানের বদান্যতায় হাসি ফুটেছে শিশু রেজাউলের মুখে