রাজগঞ্জ সংবাদদাতা
দেশজুড়ে রাসেলস ভাইপার সাপ আতংকের মাঝে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ অঞ্চলে ডাঁড়াশ সাপ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা ভয়ে তাদের মাঠে যাওয়া একরম ছেড়ে দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে হায়তপুর তালতলা এলাকায় বিশালাকৃতির একটি ডাঁড়াশ সাপ পিটিয়ে হত্যা করে দুই কৃষক। এতে যেন আগুণে ঘি ঢালার মত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলার নেংগুড়াহাট এলাকায় বিভিন্ন মাঠে মাঠে একের পর এক রাত-দিন সবসময় ডাঁড়াশ সাপের দেখা মিলছে। গত সপ্তাহে হায়াতপুরের মাঠে তালতলা নামক স্থানে দেখা মেলে বিশালাকৃতির একটি ডাঁড়াশ সাপের। এলাকাবাসী ভয়ে সাপটির কাছেও যেতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঠের একই এলাকায় মাঠের পুকুরের চার পাশে থাকা ও ফসলি জমিতে আরও কয়েকটি ডাঁড়াশ সাপ দেখা যায়। মঙ্গলবার স্থানীয় নজরুলের পটল ক্ষেতে একটি সাপ পিটিয়ে হত্যা করে কৃষক নূর হোসেন, আবু তালেবসহ স্থানীয়রা। এ সময় একজন আহত হলে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। কৃষাকরা বলেন, তীব্র গরমের কারণে ফাঁকা মাঠে সাপ বের হয়ে আসছে। আর এতে করে কৃষকরা ফসলের ক্ষেতে যেতে পারছে না সাপের ভয়ে।
এই বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জরুরি বিভাগের ডাক্তার আনারুজ্জামান (টুকুর) বলেন,সাপে যদি কাউকে কামড় দেয় তাহলে সেই ব্যক্তিকে ওঝা দিয়ে ঝাড়ফুঁক না করিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। সাপের কামড়ের রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে নেয়া গেলে মৃত্যুঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। যদিও বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর জন্য কোনো অ্যান্টিভেমন নেই। তবে আমরা দ্রুত আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেমন আসে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাপ বেশির ভাগ সময়ে পায়ে কামড় দেয়। তাই সম্ভব হলে গামবুট পরে ফসলের মাঠে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রথমে এই সাপের দেখা মেলে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে।