বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত বিপাকে পড়েছেন যশোরের রেলযাত্রীরাও। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় করেছেন। কেউ কেউ ট্রেন কখন চালু হবে তা জানতে চাইছেন। আবার অনেকে ট্রেন না চলায় টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন। নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে না পেরে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা।
যশোর থেকে রাজশাহীগামী নজরুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, পরিবারের চার সদস্যকে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ট্রেন না চলায় ফিরে যাচ্ছেন। এখন নিউ মার্কেট থেকে বাসে করে যাবেন। ভোগান্তির কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। সালমা বেগম নামের এক নারী যাত্রী জানান, দুই বছরের বাচ্চা আর বড় ব্যাগ সাথে। বসে থেকে এখন আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। ব্যাগ বয়ে বাইরে গিয়ে আবার অটোতে করে বাসস্ট্যান্ড যেতে হবে। তারপর টিকিট কাটতে হবে। সকালে এসে মহাবিপদে পড়লাম। যাত্রীদের কেউ কেউ জানান, সকালে রেলস্টেশনে এসে তারা জানতে পারছেন যে ট্রেন চলবে না। টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিটের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্ধারিত গন্তব্যে তারা যেতে পারছেন না। এর ফলে তাদেরকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এখন বাসে করে তাদেরকে নির্ধারিত গন্তব্যে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যার ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।