বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা মাঠে লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে সৌর সেচ পাম্প কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ উঠেছে হুমায়ুন কবীর বাবুর বিরুদ্ধে। এতে লাইন্সেকৃত দুই কৃষক’র সেচ কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দিলে বিএডিসিকে বন্ধের নির্দেশ দিলেও চার মাসে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। দুই কৃষকের এরিয়ার মধ্যে সেচ পাইপ বসিয়ে সেচ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষক মুস্তিফিজুর রহমান বলেন, চলতি বছরে ২৯ ফেব্রুয়ারি বাগডাঙ্গা মৌজার বাগডাঙ্গা খতিয়ানের ৫৬০ দাগ ৭৫ একটি সেচ পাম্পে লাইসেন্স নিয়ে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করি। আমার লাইসেন্স নং ২০২৩-২৪/৩৩৪ সাইজ ০.৫ কিউসেক। কিন্তু একই এরিয়ার মধ্যে
হুমায়ুন কবির বাবু লাইসেন্স না নিয়ে আমার সেচ পাম্পের ৩৫০ থেকে ৪০০ ফিটের ভিতরে আরো একটি সেচ পাম্প স্থাপন করেছে। এতে করে আমার সেচ প্রকল্পের আওতা কমে গেছে। মাঠে পানি দিতে পারছি না।
কৃষক আমিন উদ্দিন বলেন, আমার ১০ কিউসেক লাইসেন্স নেয়া। আমার এরিয়ার ৭শ’ ফিটের মধ্যে সেচ কার্যক্রম চালাচ্ছে। ফলে পানির লেয়ার কম পাচ্ছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি।
দুইজন সাধারণ কৃষক বলেন, আমার আগে ঠিক মতো পানি পেতাম। ফসল চাষ করতে সুবিধা হচ্ছিল। কিন্তু হুমায়ুন কবীর বাবুর সৌর সেচ পাম্প কার্যক্রম চালানোর কারণে পানি পাচ্ছি কম। জমি ভিজাতে সময় লাগছে বেশি এবং খরচ বেড়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বাবু বলেন, আমি সেডের ভিতরে চাষের জন্য বিএডিসি থেকে সৌর প্লান্ট দেয়। সেই সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আমি সেডের ভিতরে চাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম। পরে কৃষকদের কথা ভেবে আমি সেডের বাহিরে সাধারণ কৃষককের জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করছিলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বিএডিসি থেকে কোন লাইসেন্সে নেয়নি। সেডের ভিতরে চাষের পাম্প দিয়ে এতদিন বাহিরে পানি দিয়েছি।
যশোর বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (সৌর) সোহেল রানা বলেন, হুমায়ুন কবীর বাবু কোন লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। আমি নির্দেশ দিয়েছি পাইপ তুলে নেয়ার জন্য। কিছু দিনের মধ্যে পাইপ তুলে নিবে বাবু।’