বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলার ৭ নম্বর কায়বা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আশিকুজ্জামান আশিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হারুন মোড়ল ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের নামে শার্শা থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ী গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আগামী কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আশিকুজ্জামান আশিক, ইউনিয়ন যুবদল নেতা করিম মিস্ত্রির ছেলে টুটুল, লুৎফারের ছেলে মুন্না হোসেন, মৃত ফরির আহম্মেদের ছেলে নজিবুল্লাহ, মৃত চাঁদ আলীর ছেলে চটা সিরাজ, আলাউদ্দিনের ছেলে লিটন হোসেন ও মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কাওসার আলী।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ ডিসেম্বর রাড়িপুকুর গ্রামের ব্যবসায়ী হারুণ মোড়ল বাগুড়ী বেলতলা বাজারস্থ রফিকের চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় কায়বা ইউনিয়ন যুবদল নেতা নজিবুল্লাহ তার কাছে ফোন করে কোথায় আছেন জানতে চান। তিনি বেলতলা বাজারে রফিকের চায়ের দোকানে আছেন জানালে কিছু সময় পরে শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদের ভাইপো ও কায়বা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আশিকুজ্জামান আশিক, যুবদলনেতা মুন্না, টুটুল, চটা সিরাজ, লিটনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন ৮/১০ টি মোটরসাইকেলযোগে এসে তাকে জোর পূর্বক বাগআঁচড়া বাজারস্থ বিএনপি অফিসে তুলে নিয়ে যায়। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আশিকের নেতৃত্বে অনান্যরা তাকে এলোপাতাড়ি চড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে। এসময় আশিকুজ্জামান আশিক তার নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এবং টাকা না দিলে তাকে খুন করার হুমকিও দেয়া হয়। প্রাণের ভয়ে ধারদেনা করে যুবদল নেতা নজিবুল্লাহর মাধ্যমে প্রথমে তিনি নগদ ১ লাখ টাকা দেন। এবং ২০ দিনের মধ্যে বাকি ৪ লাখ টাকা দিতে হবে মর্মে তাকে ছেড়ে দেন চাঁদাবাজ আশিক ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। পরবর্তীতে গত ১৮ জানুয়ারি চাঁদার টাকা বাবদ আরো ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেন তিনি। বাকি চাঁদার টাকা জন্য প্রতিনিয়ত তাকে আশিকগং হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। যে কারণে জীবনের ভয়ে তিনি ৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ কে আসামি করে শার্শা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এজাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।