বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে কাজে যোগ দিতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) শরিফুল ইসলাম। দ্রুত সময়ের মধ্যে তার বদলি কার্যকর করে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক করার দাবিতে এ অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারক লিপি দিয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) শরিফুল ইসলাম কাজে যোগদান করতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শরিফুল ইসলামের সাথে বহিরাগত লোকজন আসলে তাদের ধাওয়া দিলে তারা দৌঁড়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয় কলেজ ক্যাম্পাস।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, গত ২২ আগষ্ট শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত বিভিন্ন অভিযোগের দায়ে চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) শরিফুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। পরে অধিদপ্তর ও প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দিলেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্টরা। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, স্বপদে বহাল থেকে অফিস কার্যক্রম করতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেন তিনি। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে মুঠোফোনে ভয় ভীতি প্রদর্শন, স্থানীয় ও রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়া, ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয় দেখিয়ে মামলা-হামলার ভয় দেখান এই চীফ ইনস্ট্রাক্টর।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অফিস কার্যক্রম করবেন এমন অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন শরীফুল ইসলাম। বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ফের রাজপথে নামে। শিক্ষার্থীরা বলেন, এই চীফ ইনস্ট্রাক্টর দাবি করেন ‘অধিদপ্তরে আমার নিজের লোক আছে। আমাকে বদলি করানো এত সহজ না।’
এ বিষয়ে অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যসস্থা গ্রহণের জন্য যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের মাধ্যমে সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, পরিচালক প্রসাশন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিচালক আঞ্চলিক কার্যালয় খুলনা, জেলা প্রশাসক, যশোর বরাবর অনুলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।